“প্রেম” এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম-বেশী পরিচিত। তবে ‘দেশপ্রেম’ শব্দের সাথে আমরা ক’জন পরিচিত। ক’জনের আছে দেশপ্রেম ? সাধারণ মানুষই নয় ক’জন রাজনৈতিক নেতার মধ্যে দেখেছেন দেশ প্রেম? তবে হ্যা, অনেক মনিষী ও রাজনৈকি নেতবৃন্দ রয়েছেন; যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশপ্রেমে নিজেদের ব্রতী রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
তাদেরই একজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভগ্নিপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা তথা বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলের কৃতী সন্তান শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত।
মন্ত্রী পদমর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ কমিটির আহবায়ক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিরার নির্দেশে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নকারী সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বাবা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ১৯৭৫সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতার সাথে ঘাতকের বুলেটে পরিবার সদস্যদের সাথে শহীদ হয়েছিলেন।
তাঁর দেশপ্রেমের একাধিক উদাহরণের মধ্যে অনন্য উদাহরণ মেলে নিজের হাতে লেখা স্বাক্ষরিত মন্তব্যতে। ১৯৭৪ সালের ২৯ মে তৎকালীন বিদ্যুৎ, বন্যা নিয়ন্ত্রন ও পানি সম্পদ মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এক রাতের আতিথিয়তা গ্রহন করেছিলেন কাপ্তাই ডাক বাংলোয়।
পাহাড়, ঝর্না, হৃদ আর গাছগাছালির প্রাকৃতিক নৈসর্গের অপরুপ মিশ্রনের লীলাভূমিতে ভরপুর কাপ্তাই অবস্থানকালে তিনি নিজের হাতে লিখেছিলেন “ব্যবস্থাপনা সুন্দর, এ দেশ যে কত্তো শোভাময় কাপ্তাই তার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। এই সুন্দর মাতৃভূমিকে আমার যেন ভালোবাসতে শিখি।” মাত্র ১৯টি শব্দের মধ্যে লেখা হৃদয়ের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ সত্যি অতুলনীয় ও স্মরনীয়।
শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নিজের হাতে লেখা ঐতিহাসিক এই অমূল্য দলিলটি নিজ উদ্যোগে জনসমক্ষে উপস্থাপনের জন্য শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়বাতের সাথে কৃতজ্ঞার সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল।
