স্টাফ রিপোর্টার/শামীম ইসলাম:
বরিশালের উজিরপুরে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের ১৪০নং গড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিশু ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। সে উজিরপুর স্থানীয় শিক্ষা কমিটির সদস্য।
গত কয়েকমাস ধরে বিদ্যালয়টির শিশু ছাত্রীদের সাথে প্রধান শিক্ষকের অব্যাহত যৌন হয়রানির বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীসহ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
যৌন হয়রানি শিকার ওই সকল ছাত্রীর অভিভাবকরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর একাধিক শিশু ছাত্রীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক তাদের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে তাদেরকে যৌন হয়রানি করে আসছিলো। মাঝে মধ্যে তাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরে, কাউকে আবার নাতনি বলে শরীরের বিভিন্নস্থানে হাত দেয় প্রধান শিক্ষক মিজান। এতে তাদের খুবই বিরক্ত লাগে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক তাদের সাথে এ ধরনের নোংরামি করে আসছিলো।
ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর একাধিক ছাত্রীরা জানায়, তাদেরকে দিয়ে শ্রেণী কক্ষের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক হাত-পাঁ চাপায়। আর সে নিজে ব্যস্ত থাকেন মোবাইল ফোন নিয়ে। মাঝে মাঝে বিদ্যালয় ঝাঁড়ু দেয়াসহ বিভিন্ন কষ্টদায়ক কাজ করায়।
এসব বিষয় সম্পর্কে অভিযোগকারী ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের কাছে জানালে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে এড়িয়ে থাকতে বলেছেন ভুক্তভোগীদের অভিভাবকরা।
ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকা জানান, এ ধরনের আপত্তিকর কর্মকান্ড আসলে দু:খজনক। প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে পঞ্চম শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্রীরা অনেকে অনেক কিছু আমার কাছে বলছে। কিন্তু নিজের চোঁখে কিছু দেখি নাই।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিযোগ। আমি এ বিদ্যালয়ে থাকি এটা স্থানীয় একটি কু-চক্রি মহল চায়না, তারা চায় আমি এখান থেকে চলে যাই।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দেন তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।