অনলাইন ডেস্ক:
বরিশালের সর্বোত্তরের জনপদ গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় সংসদের ১২১ ও বরিশাল-১ আসন। এখানে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে সাবেক এম.পি এম. জহির উদ্দিন স্বপন রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে ঘরে বসেই নির্বাচনী প্রচারনা করছেন। গৌরনদীর ৭টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আগৈলঝাড়ার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে এ আসনটি।
স্বাধীনতা পরবর্তি ১০টি জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৫ বার, বিএনপি প্রার্থী ৩ বার ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের সমর্থনে এবারের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র পেয়েছেন বর্তমান এম.পি ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রি) আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্।
বি.এন.পি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এম.পি এম. জহির উদ্দিন স্বপন, কিন্ত দলিয় কোন প্রচার প্রচারনায় মাঠে নেই স্বপন, বি.এন.পি নেতা কর্মির সাথে আলোচনা করে জানা যায়। তিনি ঘরে বসেই বি.এন.পির কিছু সংখ্যক কর্মি নিয়ে ঘরে বসেই নির্বাচনি বক্তব্য দেন ও মাঝে মাঝে ফেইসবুক লাইভে এসে প্রচার প্রচারনা করতে দেখা যায়। নেতা কর্মিরা কারন হিসেবে বলেন বি.এন.পির রাাজনিতি থেকে ১০ বছর দুরে থাকায় এবং তত্বাবধায়ক সরকারের সময় বি.এন.পি চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নামে দুর্নাম করেন তাই তাকে দল থেকে মনোয়ন দিলেও মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মিরা তার পক্ষে কাজ করছেন না।
সে একাধিক বার খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার বরাদ দিয়ে গৌরনদীর বি.এন.পির সিনিয়ার নেতা দের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সারা পায়নি। গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি শরীফ স্বপন বলেন, যারা বি.এন.পির টা খেয়ে দলের সাথেই এমনকি খালেদা জিয়া তারেক জিয়ার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন তাদের নমিনেশন দিলে তৃনমূলে নেতাকর্মিরা মেনে নেবে না। তার প্রতিফলন এখন হচ্ছে।
যারা দলের দূর্দিনে কাজ করেছেন বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবাহান দলের নেতা কর্মিদের নিয়ে মাঠে থেকেছেন ও হামলা/মামলা থেকে রেহাই পায়নি বিভিন্ন ইউনিয়নের সংগঠনের কমিটি গঠন সহ নেতা কর্মিদের সু-সংগঠিত রেখেছেন এবং খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার নির্দেশে দলের আন্দোলন সংগ্রাম বেগমান করেছেন। সেখানে জহির উদ্দিন স্বপন ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না তাহলে মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মিরা কিভাবে তার সাথে কাজ করবে।
বি.এন.পি প্রার্থী এম. জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও গৌরনদী পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা আমকে নির্বাচনি মাঠে কাজ করতে বাধা দিচ্ছেন, মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মিদের মারধর করছেন, প্রচারের মাইক ও নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গে ফেলছেন ও আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। বি.এন.পি মনোনিত প্রার্থী এম. জহির উদ্দিন স্বপনের বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও গৌরনদী পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান বলেন, বি.এন.পির দলিয় কোন্দলের কারনে তিনি কোন ঠাসা হয়ে এখন আওয়ামীলীগের নামে মিথ্যা গুজাব ছরাচ্ছেন।
কিন্ত এ অঞ্চলের জনগন গুজাবে কান না দিয়ে এলাকার উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে তারা একতাবদ্ধ হয়েছেন আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ কে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। তিনি আরো বলেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্। দীর্ঘদিন যাবত তিনি এককভাবে গৌরনদী-আগৈলঝাড়াসহ পুরো দক্ষিনাঞ্চলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আমরা যখনই যথাযথ প্রকৃয়ার মাধ্যমে যথাযথ স্থানে তাকে সমাসিন করেছি, তখনই তিনি এ অঞ্চলের রাস্তা, ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
তিনি ব্যাতিত অন্য কেউ এ উন্নয়ন করতে পারেন নি। তিনি এ নির্বাচনী এলাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে যে সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে তার ধারাবাহিকতায় দক্ষিনাঞ্চলসহ বিশেষ করে গৌরনদী-আগৈলঝাড়া যে উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে এবং যে গুলো চলমান রয়েছে, এ উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে তার সফল নেতৃত্বর প্রতি আস্থাশীল হয়ে এখানকার মানুষ আজকে ঐক্যবদ্ধ এবং একাট্টা। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে এ আসন থেকে বারবার জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্কে নির্বাচিত করতে হবে।
যে কারনে আমরা আশাবাদী স্মরনকালের সেরা ব্যাবধানে জনগনকে নিয়ে আমরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্কে বিজয়ী করব ইনশাহ্আল্লাহ্। আওয়ামীলীগের দলীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২মাস ধরে ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বমোট ১১৭টি ওয়ার্ডে কমিটি পূনঃগঠন এবং ওয়ার্ড কার্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার পক্ষে চলেছে ব্যাপক গণসংযোগ।
এ ছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা কমিটিও করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনকে আরো বেশী চাঙ্গা করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও আওয়ামীলীগের পক্ষে সংগঠিত করা হয়েছে।