বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকটি পদে রদবদল করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল হাসান জানান, কর্পোরেশনের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য একটু রদবদল করা হয়েছে। এছাড়া অন্যকিছু নেই এখানে। বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই রদবদল করা হয়েছে।
এছাড়া কর্পোরেশনের হাট-বাজার ও স্টল শাখার সুপারিনটেনডেন্ট নুরল ইসলাম, অবৈধ উচ্ছেদ শাখায় কর্মরত উচ্চমান সহকারী (চঃদা)জাহাঙ্গীর হোসেন ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধাকে সাময়িক অব্যহতি দিয়ে প্রশাসনিক শাখায় বিশেষ কর্মে নিয়োজিত করা হয়েছে।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, ৭ কর্মকর্তার মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল।হিসাব বিভাগের বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান বিগত ২ সিটি মেয়রের আমলে নগরভবনের কর্তাবাবু সেজে সাধারন স্টাফ ও ঠিকাদারদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল করতেন।
সিটি কর্পোরেশনে মেয়রের চেয়েও নিজেকে ক্ষমতাধর দাবী করা এ মশিউরকে করা হয়েছে ওএসডি।অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বিসিসিতে নিজর রামরাজত্ব চালু করেছিলেন।একটি পরিষদ খুলে কিছু হলেই সেই সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে বিসিসিতে কার্যত অচলাবস্থা চালু করতেন।তার কাছে জিম্মি ছিল নগরবাসী।তাছাড়া উপরিউক্ত দুজন সাবেক মেয়রের সাথে যোগসাজশে ভুয়া স্টাফ দেখিয়ে অর্থ আত্বসাত করতেন।আর তাদের কাজে সহযোগি ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসমা।