বরিশাল নগরীর ১১নং ওয়ার্ড বঙ্গবন্ধু কলোনীর নাম পরিবর্তনের পায়তারা চালাচ্ছে একটি চক্র। অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ছোহরাব হোসেন বঙ্গবন্ধুর নামকে অসম্মান করে বিভিন্ন স্থানে তিনি আউটার স্টেডিয়াম কলোনী নামে কার্ড দিয়ে মাহফিলের চাঁদার টাকা উত্তালন করছেন।
স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু কলোনীর নামে ২ একর ৭০ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে কাগজপত্রে ও সাইনবোর্ডে বঙ্গবন্ধু কলোনী নামটি ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু কয়েক মাস যাবৎ এই ওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন বঙ্গবন্ধু নামটি মুছে ফেলার পরিকল্পনা চালিয়ে আসছে। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রমিকলীগের একটি পদ বহন করেও বঙ্গবন্ধুর অসম্মান করলেন কি ভাবে? এমনি প্রশ্ন সাধারন মানুষদের মাঝে।
তবে ১১নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শ্যামাকাওয়ালী অনুষ্ঠানের পরিচালক ছোহরাব হোসেন অভিযোগ স্বিকার করে বলেন, ভাই আমাদের মাহফিলে মাইজ ভান্ডারীর অনেক ভক্তবৃন্দ রয়েছে বিভিন্ন দলের তাই লিখতে হয়েছে। তবে আমার ভুল হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কলোনীর নামে ২একর ৭০শতাংশ জমি আছে আর বাকিটা অন্য নামে তাই বঙ্গবন্ধুর নাম দিতে পারি নাই।
এদিকে সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আগামী ১৫ই ডিমেম্বর রবিবার মাইজ ভান্ডারীর বার্ষিক ওরশ মাহফিলের একটি দাওয়াত কার্ডে বঙ্গবন্ধু কলোনী নাম উল্লেখ না করে ১১নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ছোহরাব হোসেন তিনি বঙ্গবন্ধুর নামের স্থানে স্টেডিয়াম কলোনী লিখে বিভিন্ন মহলে চাঁদা উঠানোর জন্য তাগিদ চালিয়ে আসছে। তবে ছোহরাব হোসেনের এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলীয় নেতৃবৃন্দরা।
এবিষয় ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নামে কলোনীর নাম পরিবর্তন করার ক্ষমতা কারো নাই। সে যদি দাওয়াত কার্ডে আউটার স্টেডিয়াম কলোনী লিখে থাকে তা হলে তিনি সেটা সঠিক করেনি। কারন সে আওয়ামী লীগের একটি পদ বহন করছেন। তার কাছ থেকে এটা আসা করি না।
একটি সূত্র জানান, ছোহরাব হোসেন নিজেকে এই অভিযোগ থেকে বাঁচাতে নতুন করে আরো একটি দাওয়াত কার্ড তৈরি করেছে। তবে সেখানে বঙ্গবন্ধু কলোনী লিখে পূনরায় আবার চাঁদা তোলার তাগিদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এবিষয় বরিশাল জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব মিয়া জানান, ১৯৯৯ সালে অসহায় গরিব মানুষদের থাকার জন্য প্রায় ৮হাজার লোককে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ওই কলোনীতে স্থান দেয়। তখন কলোনীর নাম করন হিসেবে জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু নামে নাম করন করে (বঙ্গবন্ধু কলোনী) হিসাবে ঘোষনা করেন। কিন্তু সেই নাম কেউ পরিবর্তন করার পায়তারা চালাবে তা মেনে নেয়া যাবে না।
দলীয় লোক হয়ে বঙ্গবন্ধুর নামকে অসম্মান করা কোন দলীয় নেতার কাজ না।
