বরিশালের কাশিপুরে অসহায় ও নির্যাতিত গৃাহকর্মী শিশু লামিয়া আক্তার মারিয়া (১২) নির্যাতনে জড়িত গৃহকর্ত্রী শারমিন আক্তার গ্রেপ্তার হলেও অপর আসামী কুলাঙ্গার গৃহকর্তা আশরাফুল চৌধুরীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোশারেফ হোসেন। বুধবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ওসিসিতে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এই আশ্বাস দেন তিনি।
মাননীয় পুলিশ কমিশনার বিএমপি জনাব মোশারফ হোসেন মহোদয়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণে শিশু লামিয়া ধীরে ধীরে আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে ।
ওই সময় পুলিশ কমিশনার শিশু মারিয়ার চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন শিশু নির্যাতনকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। বরং এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করার পরামর্শ দেন।
সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কমিশনার মো. মোশারেফ হোসেন বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশসহ বিএমপি অপরাধ ও মিডিয়া শাখার সদস্যরা অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
সেই সাথে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহকর্ত্রী শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন গৃহকর্তা এনজিওকর্মী আশরাফুল চৌধুরী।
নাম পরিচয়হীন ফেসবুক মেসেজকে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের অদেশক্রমে নির্যাতন বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া ও অপরাধী গ্রেফতার তৎপরতায় বিএমপি বরিশাল সারা বিশ্বে আবারও প্রমাণ দিলো অপরাধের তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে তথ্য দাতার পরিচয় গোপণ রেখে নিজে বাদী হয়ে সে বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কতটা আন্তরিক হয়ে অপরাধ ঠেকাতে ও আইনের আওতায় আনতে সক্ষম। আমরা আর চাই না শিশুদের কান্না।