ছাগলনাইয়া উপজেলায় যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি কপিল উদ্দিন ভুঁইয়াসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১০ জন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে শহরের এ এন মধুমতি মার্কেটের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা সবাই বহিরাগত সন্ত্রাসী। তাদের কাছ থেকে ৩০টি ককটেল উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আটককৃত অন্যরা হলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক কিবরিয়া মজুমদার, সহসাংগঠনিক রুহুল আমিন, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এমরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মহামায়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জেবল হক, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সদস্য কামরুল হাসান আসিফ, ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল হাসান জাহিদ, ফেনী সদরের ভুঁইয়ার এলাকার বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি এমএম মুর্শেদ জানান, আটককৃতরা সবাই বহিরাগত সন্ত্রাসী। তারা শহরের এ এন মধুমতি মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। গোপনে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৩০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে।
তবে পুলিশের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ফেনী-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুন্সি রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমার ছাগলনাইয়ার নির্বাচনী অফিস থেকে স্থানীয় নেতাদের ধরে নিয়ে গেছে। তাদের একজনও বহিরাগত নয়। ককটেল উদ্ধারের অভিযোগ মিথ্যা।
মজনু বলেন, পুলিশ আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এখন নির্বাচনী পরিবেশ তো দূরের কথা আমার নিজের জীবনের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।