সিনিয়র রিপোর্টার//জুয়েল মাহামুদ:
মেহেন্দিগঞ্জে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও তার তিন পুত্রকে কুপিয়ে আহত করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুট করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা, পৌর আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন সহ তার তিন পুত্রকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
গত ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে মোস্তফা সিকদারের ছেলে অটো স্ট্যান্ডের লাইনম্যান বিভিন্ন মামলার আসামী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী রফিক সিকদারের নেতৃত্বে বাচ্চু বেপারীর ছেলে রাসেল, ভুট্টো, নজরুল সহ ২০/২৫ জন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে তাসলিমা মেডিকেল হলে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
আহত ওমর হাওলাদার জানান, আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও প্রাণনাশের জন্য এ হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেয়া রফিকের দলীয় কোন পদ পদবী না থাকলেও ওই এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে চাঁদা উত্তোলন করেন তিনি। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য কেউ কখনও মুখ খুলতে সাহস করেন না। এরই ধারাবাহিকতায় তাসলিমা মেডিকেল হলে রফিকের নেতৃত্বে তার সঙ্গপাঙ্গরা আতর্কিত হামলা করে ওমরকে ব্যাপক মারধর করে দোকান ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
খবর পেয়ে ওমরের বাবা মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারেফ হোসেন হাওলাদার ও তার দুই পুত্র আকাশ হাওলাদার (২০) ও সাখাওয়াত হাওলাদার (২৫) দোকানে এসে হামলার কারন জানতে চাইলে সন্ত্রাসীরা প্রথমে তাদের সাথে থাকা লোহার পাইপ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিতা ও তিন ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। আহতদের পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে তিন ভাইকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, রফিক স্ট্যান্ডের লাইনম্যান হওয়ায় ওই এলাকায় মাদকের স্বর্গ রাজ্য করে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করেন। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য কেউ কখনও মুখ খুলতে সাহস করেন না। রফিক এর আগেও ধর্ষন মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় জেল খেটেছে।
এ ঘটনায় মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মজির রহমান জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।