বুধবার হয়ে গেল সিপিএলের সপ্তম আসরের ড্রাফট। লন্ডনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ড্রাফট সিপিএল তাদের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করে। সিপিএল ড্রাফটে নাম লিখিয়েছিলেন ১৮ জন বাংলাদেশি। যেখান থেকে দল পেয়েছেন আফিফ হাসান ধ্রুব।
আজকের ড্রাফটে ১৩তম রাউন্ড শেষে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন শুধু অলরাউন্ডার আফিফ হাসান ধ্রুব । ১৩তম রাউন্ডে তাকে দলে নেয় সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।
বাংলাদেশ থেকে সিপিএলে এর আগে দল পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিবের সুযোগ হয়েছিল বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস ও জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে খেলার। সাকিব তার টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা স্পেলও সিপিএল ২০১৩তে অর্জন করেছিলেন। গতবার সিপিএলে সুযোগ পেয়েও শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে ফেলেন সাকিব। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও জাতীয় দলের খেলা থাকায় পুরো আসর খেলতে পারেননি।
সাকিবের মতো টি-টোয়েন্টির সেরা বোলার রশিদ খানও কোন দল পাননি। বিদেশি তারকাদের মাঝে প্রথম রাউন্ডেই যারা দল পান তারা হচ্ছেন এলেক্স হেলস, লাসিথ মালিংগা, ইশুরু উদানা ও শাদাব খান। পরবর্তীতে আরো দল পান ফাওয়াদ আহমেদ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, থিসারা পেরেরা ও কলিন মুনরোর মতো খেলোয়াড়রা।
২০১৯ সালের সিপিএল শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ও শেষ হবে ১২ই অক্টোবর। প্রতিটি দলের ড্রাফট থেকে ৫ জন বিদেশী খেলোয়াড় নেওয়ার সুযোগ ছিল। তাই যাদের নেওয়া হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আশা পুরো আসরেই তারা খেলতে পারবে।
সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ দলের কোন খেলা না থাকলেও এফটিপি অনুযায়ী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ দলের আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ রয়েছে।
তার আগেই হয়তো জাতীয় দলের সকল খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি ক্যাম্পে অংশ নিতে হবে ।ধারণা করা হচ্ছে পুরো আস্রে পাওয়া যাবেনা জেনেই হয়তো তারকা বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি দলগুলো। রশিদ খানও সেপ্টেম্বরে ইউরো টি ২০ আসরের জন্য চুক্তিবদ্ধ, সে কারণে তাকেও দলে নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি কেউ!