বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইটভাটা (পুইন) মালিকরা।নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যে যার মত করে ইটভাটা (পুইন) দিয়ে অদৃশ্য শক্তির বলে পার পেয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর।ইটভাটা মালিকদের হাত এতটাই লম্বা যে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয় না।নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে অপরিকল্পিতভাবে উপজেলার যত্র তত্র গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলি গিলে ফেলছে ফসলী জমি।
সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের কবির হোসেন পিং মৃত আঃ সাত্তার হাং প্রায় ১০ বছর ধরে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাস্তার পার্শ্বে এবং আঃ মান্নান হাওলাদারের জমির পার্শ্বে ১ ফুট জমিও না রেখে গভীর জলাশয় সৃস্টি করে ইট তৈরির জন্য মাটি সংগ্রহ করে।উক্ত জলাশয় সংলগ্ন আঃ মান্নান হাওলাদারের জমি ভেঙ্গে পড়ায় তিনি প্রাথমিকভাবে বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অত্র এলাকার মেম্বর গোলাম মোস্তফাকে অবগত করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান,ইউ এন ও অফিস ম্যানেজ করেই ইটভাটা মালিকরা এ অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।এ অনিয়ম বন্ধ হওয়া উচিত।”
ইউ পি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া জানান,”অবৈধ ইটভাটা (পুইন) আমরা সমর্থন করি না।জনগনের ক্ষতি হয় এরকম কোন অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না।”
উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্দিকুর রহমান (বাদশা) জানান,”অবৈধ ইটভাটা (পুইন) দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।এ অনিয়ম কিভাবে বন্ধ করা যায় তা আমারও জানা নেই।অভিযোগ দিলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করলে উপজেলা আইন শৃঙ্খলার মিটিং এ হয়তো উঠানো যাবে।”
ভুক্তভোগী আঃ মান্নান হাং জানান,” বিষয়টি এমপি মহোদয়কে জানাব।তিনি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন না।আশা করি ইটভাটার (পুইন) গভীর জলাশয়ের ভাঙ্গন থেকে আমার জমি রক্ষা পাবে।”