27 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ জেলার সংবাদ

তোকে নুসরাতের মতো পুড়িয়ে মারবো: ছাত্রলীগ নেতা

নাজমা খাতুন নামে মহিলা যুবলীগের এক ওয়ার্ড সভাপতিকে নুসরাতের মতো আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন কয়রা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন। আল আমিনের মামাদের সঙ্গে নাজমার পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বাড়িতে গিয়ে এ হুমকি দেয়া হয় বলে আশাশুনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ২৩৮) করেছেন নাজমা খাতুন।

শুক্রবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমা খাতুন নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি আল আ

মিনের বিরুদ্ধে ছাত্র শিবির থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ, নিজের ভাইকে দিয়ে সুন্দরবনে ডাকাত দল পরিচালনা, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে বাড়ি ছাড়া করা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

নাজমা খাতুন জানান, তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মহিলা যুবলীগের সভাপতি।

অভিযোগ রয়েছে, নাজমার পরিবারের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি আল আমিনের মামারা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ভোগ করছে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলছে। আল আমিনের প্রভাবে তার মামারা ২০ মে নাজমার পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখম করলে ২৩ মে আশাশুনি থানায় মামলা (মামলা নং-২৪) হয়। ওই মামলার পর থেকেই আল আমিন বেপরোয়া আচরণ ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

নাজমা অভিযোগ করেন, গত ২৮ মে সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন ইসলাম, তার মামাত ভাই আল আমিন হোসেন ও মামা ফারুক হোসেন ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী দল নিয়ে হঠাৎ করে নাজমার বাড়িতে হাজির হয়। এসময় তাদের দেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে তারা বাইরে থেকে হুমকি দেয় যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা তুলে না নিলে তাকে অপহরণ ও হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে। ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে নাজমা, তার স্বামী-সন্তান ও পরিবারের সবাইকে ভিটে ছাড়া করবে।

এসময় ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন বলেন, তোকে নুসরাতের (ফেনির সোনাগাজিতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা) মতো করে পুড়িয়ে মারবো। তোর কোন বাপ আছে ঠেকাতে বলিস। নুসরাতকে তো আগুন লাগানোর আগে হত্যা করেনি, তোকে আগে টুকরো টুকরো করে তার পর আগুনে পোড়াবো। পরে তোর লাশের ছাইও পাওয়া যাবে না, গুম করে দেব।

আল আমিনের বিরুদ্ধে ছাত্র শিবির থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে নাজমা বলেন, আল আমিন ২০০৮ সাল পর্যন্ত কয়রা সুন্দরবন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিল। তার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে প্রায় সবাই বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জড়িত। অনুপ্রবেশ করে একমাত্র আল আমিন একটি পদ পায়।

নাজমার মামলার ১ নং আসামি আবুল হোসেন চিহ্নিত জামায়ত কর্মী, ছোট মামা ৩ নং আসামি ফারুক হোসেন বিএল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও মামাত ভাই ৬ নং আসামি আল আমিন শিবির কর্মী ও সাঈদি মুক্তি পরিষদের গোকুলনগর গ্রামের সভাপতি।

এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আল আমিন বলেন, তিন বছর আমি নাজমাদের বাড়িতে যাইনি। জমিজমা নিয়ে মামা খালাদের মধ্যে সমস্যা আছে। সেখানে আমার যাওয়ার কোনো বিষয় নেই। নাজমা সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছে তা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের খুলনা জেলা সভাপতি পারভেজ হাওলাদার বলেন, আমরা এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official

অটোরিকশায় ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল

banglarmukh official

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

banglarmukh official

বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার শিশু, ভগ্নিপতি ও শ্বশুর আটক

banglarmukh official