বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড বালুরমাঠ (কেডিসি কলোনীর) ভিতরে শহীদ আলতাফ মেমোরিয়াল গালর্স স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা, মারধর ও শ্লিলতাহানীর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৮ই জুন) বেলা চারটার দিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর পিতা বাবুল ফরাজী।
ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পিতা বাবুল ফরাজী পুলিশের উপস্থিতিতে বলেন- গত ২ জুন আনুমানিক ৯ টার দিকে তার মেয়ে নানির বাসা থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে পাশ্ববর্তি বাসিন্দা, এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামী মাসুম হাওলাদার তার এক সহযোগীকে সাথে নিয়ে পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাদের ঘরে নিয়ে তার মেয়েকে হাত-পা বেধে প্রথমে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে তাকে মারধর করাসহ শ্লিলতাহানী করে।
এসময় মেয়ের সন্ধানে ছাত্রীর বাবা বাবুল ফরাজী, মা মরিয়মসহ আত্বীয়-স্বজন খোজাখুজির এক প্রর্যায়ে মাসুম স্কুল ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়।
বাবুল ফরাজী আরো বলেন মাসুম ইতি পূর্বে বেশ কয়েকবার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হবার ঘটনায় বাবুলকে সন্দেহ করে থাকে। তারই জের ধরে তার মেয়েকে কলংকিত করার জন্য এঘটনা ঘটায়।
এছাড়া স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময়ে টাকার লোভসহ বিভিন্ন কুটক্তি করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আজ দুপুরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে এঘটনা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম (পিপিএমবার) এসআই শামীম ও এসআই সুলতানকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে মাসুম ও তার মা-বোন বাসায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে থানার অফিসাররা ভিকটিম ও তার মা-বাবাসহ খালাকে থানায় নিয়ে আসে। ওসি ভিকটিমের জবানবন্দি নিয়ে এব্যাপারে ধর্ষনের চেষ্টাকারী মাসুমসহ তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা রেকর্ড করেন।
এসময় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন আসামী যেই হোক আমরা তাকে ধরবই, কোন ছাড় দেয়া হবে না।