দালালদের সচিত্র প্রতিবেদন ছাপতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে উল্টো দালালদের রোষানলে পড়ে নাজেহাল হতে হয়েছে বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার বনে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও ফটো সাংবাদিক আলিকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তাররা অফিস চলাকালীন রোগীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ভিজিট গ্রহণ করেন। যার ভিডিও সংগ্রহ করেছেন সাংবাদিক জহির। ওখানের দালাল নির্ভর ডায়াগণষ্টিক সেন্টার মালিকরা এ খবর পাওয়া মাত্র জহিরকে চারদিকে থেকে পাকড়াও করে ফেলে। তাৎক্ষণিক সাংবাদিক জহির এ ঘটনা থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে দালালরা আরো উৎসাহ প্রকাশ করে। পুলিশ সাংবাদিক জহিরকে থানায় নিয়ে তার ব্যবহৃত ক্যামেরা এবং মোবাইলের ডকুমেন্টস রেখে দেয়। পুলিশের কাছে জহির তার ডকুমেন্টস চাইলে তারা না দিয়ে উল্টো জহিরকে শাসিয়ে দিয়ে বলেন দুই টাকার পত্রিকার লিখলে কি হয়?
এই সংবাদ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দালালরা অন্য সাংবাদিককে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। যা আদৌ সত্য নয় বলে দাবি করেন জহির।
একাধিক সূত্র জানায়- গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন কয়েক বছর যাবত একই কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করে আসছেন যেটা বিধিবহির্ভূত। এছাড়াও স্থানীয় একটি দালালচক্র তাদের নিজেদের ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করতে রোগি পাঠানোর জন্য চিকিৎসকদের মোটা অংকের কমিশন দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ডাঃ জয়নাল কর্মস্থলে বসেই রোগি দেখে তাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪শ’ টাকা করে ফি নিয়ে থাকেন। এই সংবাদের তথ্য আনতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) স্থানীয় দৈনিক বাংলার বনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও ফটো সাংবাদিক আলিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে দালালদের দুর্নীতির চিত্র ক্যামেরাবন্দি করতে গেলে এতে দালালদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটে।
এক পর্যায়ে স্থানীয় দালাল ও ডায়াগণষ্টিক সেন্টারের মালিক সোহেল ওরফে তোতলা সোহেল একটি অবৈধ পট কোম্পানীর ওষুধ প্রতিনিধি চঞ্চল ও সোহেল সরদারসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনে ছবি তুলতে বাঁধা প্রদানসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
বিষয়টি স্থানীয় থানার অফিসার্স ইনচার্জকে অবগত করলে তিনি তদন্ত ওসি তৌহিদুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দেন। পুলিশ গিয়ে জুয়েলের কাছে থাকা হাসপাতালের বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতির ভিডিও করা মেমোরি ছিনিয়ে নেয়। এবং পুলিশ জুয়েলকে উদ্দেশ্য করে বলেন ২টাকার পেপারে লিখলে কি হয়? পরে স্থানীয় মেয়র হারিছ চৌধুরী ওসিকে ফোন করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার জয়নাল আবেদীনের সাথে আলাপ করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ আঃ রহিমের সাথে আলাপ করলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।