নির্বাচনের সহিংসতা সহ দলীয় কোন্দলকে পুঁজি করে স্বরূপকাঠি উপজেলার বিশাল বাজারে রামরাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ উঠেছে গুয়ারেখার পুলক বাহিনীর বিরুদ্ধে । বিশাল বাজারের সরকার দলীয় অফিস ভাঙচুর সহ জাতীর জনকের ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙ্গচুর করে পুলক বাহিনীর লোকজন।
গত মার্চ ৩১ তারিখের হামলার ও ভাঙ্গচুরের অন্যতম আসামী পুলক ও তার বাহিনীর লোকজন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। মার্চ মাসের সন্ত্রাসী হামলার আসামীরা মামলা থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। আর সে মতে গত শুক্রবার সকাল দশটার দিকে পুলক বাহিনীর প্রধান রথিন মন্ডল (৩০), সহ সুনিল মন্ডল ও নির্মল দেউরী গংরা অতর্কিত হামলা করে। প্রত্যক্ষ দর্শিরা জানান, পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে পুলক বাহিনীর লোকজন প্রকাশ মন্ডলের বসত ঘরে হামলা সহ ভাঙ্গচুর করে। হামলায় প্রকাশ মন্ডলের বসত ঘর ভাঙ্গচুর করে বলে বাদী সহ এলাকার সচেতন মহল জাতীয় দৈনিক সকালের কে জানান।
এদিকে বিশাল এলাকায় এহেনও হামলার কথা মুহুর্তের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সমগ্র এলাকায় পুলক বাহিনীর রামরাজত্ব কায়েম করেছে। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা সহ বেঁচে থাকার জন্য প্রকাশ মন্ডল পাটিকেলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন দুপুর বারটার দিকে। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি তড়িৎ গতিতে অভিযোগ আমলে এনে মুহুর্তের মধ্যে বিশাল এলাকায় প্রকাশ মন্ডলের বাসায় চলে আসেন। ঘটনা স্থল থেকে অভিযোগের প্রধান আসামী রথিন মন্ডল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। স্থানীয় প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসামীকে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। প্রশাসনের চমৎকার উদ্যোগএর কথা মুহুর্তের মধ্যে সমগ্র গুয়ারেখা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাওয়ার আগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু শুভ্রত ঠাকুর সুকৌশলে শান্তির নিমিত্তে সামাজিক ভাবে সমাধানের জন্য রথিনকে নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়। অথচ আজ ১৫দিনের বেশি সময় হতে চলল। কিন্তু সুন্দর সমাধানের চেষ্টা করা হয়নি।
এদিকে অভিযোগের বাদী প্রকাশ মন্ডল হামলার কারনে দারুণ ভয়ে জীবন যাপন কাটাচ্ছে। হামলার ও ভাঙ্গচুরের স্বীকার হওয়া প্রকাশ মন্ডল বর্তমানে মহা টেনশনে জীবন যাপন করতেছে।
এ ব্যাপারে প্রকাশ মন্ডল জাতীয় দৈনিক সকালের সময় কে বলেন, আমি সমাজের নিরীহ বাসিন্দা অথচ অহেতুক বিনা কারণে আমার ঘর দুয়ার ভাঙ্গচুর করে সন্ত্রাসীরা । বিশাল এলাকায় রথিন সহ সুশিল মন্ডল ও নির্মল দেউরী গং এ হামলা করেন। এরা সকলেই পুলক বাহিনীর লোকজন।
এদিকে প্রকাশের ন্যায় বিচার নিয়ে চরম শঙ্কা প্রকাশ করেন। এদিকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার কথা অকপটে স্বীকারও করেন। সর্বশেষ তথ্য মতে এলাকার চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে অবহেলা করায় চরম ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
তবে সচেতন মহল বলেন, এহেনও ঘটনার বিষয়ে সমস্যার সমাধান দ্রুত করা দরকার।
তবে ভিন্ন কথা বলেন প্রকাশ, আসলে আমি ন্যায় বিচার চাই । প্রশাসন সহ চেয়ারম্যানের কাছে এটা আমার প্রধান দাবী আর আমি বাঁচতে চাই সুন্দর ভাবে।