এলাকাবাসীর অন্তহীন অভিযোগ থাকলেও মুখ খোলার সাহস পাচ্ছিল না। সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী রাসেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে শান্তিপ্রিয় নারী পুরুষ। তবে আবার অজানা আতঙ্কেও ভুগছে। জামিনে বের হয়ে ফের স্বরূপে ফিরে আসার আতঙ্ক তাড়া করে ফিরছে জনমনে।
দেশীয় অস্ত্রসহ রাসেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্য চরবাড়িয়ার মো: তোফায়েল হাওলাদারের কুলাঙ্গার পুত্র মো: রাসেল হাওলাদার এলাকায় গড়ে তুলেছে এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী। এরা এলাকায় মাদক বাণিজ্য, অস্ত্র ব্যবসা, দখল সন্ত্রাস, ভাড়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপকর্মে জড়িত। অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী রাসেল হাওলাদারের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছিল না। এর আগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে এলাকার সাধারন জনগণ অভিযোগও দিয়েছেন। এরপরও দীর্ঘ সময়ে এলাকায় অব্যাহত অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো। কোনভাবেই বন্ধ করা যায়নি মাদক ব্যবসা। মাদক বাণিজ্যের কারণে পরিবেশ ক্রমেই নষ্টের দিকে ধাবিত হয়। বেশ কয়েকবার মাদকসহ গ্রেপ্তারও হয় রাসেল হাওলাদার। কিন্তু তাকে বেশিদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়নি। জামিনে বের হয়ে ফের শুরু করে মাদক বাণিজ্যসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এলাকায় শিশু কিশোরদেরও মাদক ব্যবসায়ে জড়িয়ে ফেলে। এরফলে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান- মাদক ব্যবসায়ী রাসেল হাওলাদারের অপকর্মের অন্যতম সহযোগী শাহীন খান ও বুলেট খান। এই রাসেলসহ অন্যান্য অপরাধী আটক হলে পরবর্তীতে তাদের ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করে আশ্রয় প্রশয়দাতা শাহীন খান ও বুলেট খান। এরা এলাকায় জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী- এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে এই সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক।