শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহন করবার জন্যে এবং সেই ধরনের কোনো উদ্যোগ গ্রহন করবার জন্যে। গণতন্ত্রের জন্য ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যে যেকোনো উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক লীগ(এলডিপি) সভাপতি অলি আহমেদ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জাতীয় সংসদের পুণঃনির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দেন।
এই মঞ্চে ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিয়ের একটি অংশ ও ইসলামী মুভমেন্ট যুক্ত হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমানে বরগুনার মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, প্রতিদিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে এই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করার কারণে বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করার কারনেই এসব ঘটনা ঘটছে।
‘যখনই আপনার অপরাধী যদি শাস্তি না পায় এবং দলীয় কারনে তারা যদি মুক্ত হয়ে যায়। স্বাভাবিক কারনে অন্যান্য অপরাধী সেই দলের ছত্রছায়ায় গিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা আরো বেড়ে যায়- সেখানেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি ঘটে সেখানেই।’
এ রকম ঘটনা কেনো ঘটছে বলে মনে করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব হত্যাকাণ্ড বেড়েছে যেহেতু দেশে আইনের শাসন নেই, যেহেতু জবাবদিহিতামূলক কোনো সরকার নেই, যেহেতু জনগন এই সরকারকে নির্বাচিত করেনি, পার্লামেন্ট কোনো জনগনের প্রতিনিধি নেই, সেই কারণে এ্সব ঘটনা ঘটছে। এখানে ন্যায় বিচার নেই, বিচারহীন আছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব পরিস্কারভাবে দেখতে পারছি বিগত একদশক ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু নয়, বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করা হয়েছে। সেইক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবে আইনশৃঙ্খলার অবণতি হবে, হত্যা বাড়বে, ধর্ষন বাড়বে-এটাই কিন্তু সোশ্যাল কন্ডিশনস সেটাই প্রমাণিত হবে, সামাজিকভাবে সেইটাই আসবে।
বিকেল সাড়ে তিনটায় বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত দলীয় সদস্য জিএম সিরাজকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান। তারা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন।
এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ওবায়দুর রহমান চন্দন, শায়রুল কবির খান, বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোশাররফ হোসেনসহ বগুড়া জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।