শুধু কি মুখের সৌন্দর্যই বাড়ায় দাঁত? খাবার খাওয়ার কাজটিও করে দাঁত। আর এই দাঁত আমাদের শরীরের এক অপরিহার্য অংশ বা বলা যায় দাঁত আমাদের মূল্যবান সম্পদ। দাঁত না থাকলে যেমন কোনো কিছু খাওয়াও সম্ভব না তেমনি আমাদের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। দাঁত ক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ তারই তারই লক্ষণ। দাঁতের ক্ষয় রোধ নিয়ে কতটা জানেন আপনি?
এসিডিক খাবার খাওয়ার পরে মুখ ভাল ভাবে ওয়াশ করা না হলে দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্য কনা জমতে থাকে। ব্যাকটেরিয়া দাঁতের গোড়ায় লেগে থাকা খাবারে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে। দাঁতের ক্ষয় রোগের জন্য মূলত দায়ী করা হয় ল্যাকটিক এসিডকে। দাঁতের এনামেল থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়।
এর ফলে দাঁতের ক্ষয়রোগ দেখা দেয়। পানীয় ও খাদ্যের মধ্যকার এসিড দাঁতের ক্ষয়ের কারণ। দাঁতের ক্ষয়, যা পরবর্তীতে অনেক ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। কিন্তু কিছু সহজ অভ্যাসের গড়ে তোলার মাধ্যমে বা একটু সচেতন হলেই আমরা বেশ সহজেই প্রতিরোধ করতে পারি দাঁতের ক্ষয়।
সঠিক নিয়মে নিয়মিত ব্রাশ:
প্রতিদিন অন্তত ২ বার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। কিন্তু অনেকেই রাতের বেলা দাঁত ব্রাশ করে না। কিন্তু রাতের বেলাই জীবাণুর আক্রমণে দাঁতের ক্ষয় বেশি হয়। অনেকেই নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পরও দাঁতের ক্ষয় রোগে ভোগেন। এর কারণ হলো ঠিকমত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ না করা। অনেকেই ভুল ভাবে দাঁতের ওপর ব্রাশ ঘষে থাকে। কিন্তু দাঁত ব্রাশের সঠিক নিয়ম হলো উপর থেকে নিচের দিকে ব্রাশ করা।
মাউথওয়াশ:
অধিকাংশ মানুষই দাঁত ব্রাশ করার পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন না। মনে করেন দাঁত ব্রাশ করলেই চলবে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ দাঁতের সুরক্ষার জন্য মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।
খাওয়া-দাওয়া:
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দাঁতের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন দুধ, মাখন, দই, শাক, ব্রোকলিতে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে। এতে দাঁতের ক্ষয় রোধ হয়। প্রতিদিন খাবার তালিকায় মাছ, শাকসবজি, দুধ ও আঁশযুক্ত সবজি রাখুন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
এ খাবারগুলো প্রতিদিন খেলে আর একটু সচেতনতার সাথে মেনে চললে আপনার দাঁতের ক্ষয়রোধের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে আসে। তারপরও ক্ষয়রোধের জন্য বছরে অত্যন্ত একবার হলেও দাঁতের চেকআপ করতে হবে।