ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানালে পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু চুক্তিটি এখনও মরে যায়নি। এ চুক্তি বাঁচানোর জন্য এখনও হাতে সময় আছে।
সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে হান্ট এসব কথা বলেন।
উপসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠকে বসেন তারা।
বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, পরমাণু চুক্তি এখনো মরে যায়নি। কিন্তু ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে এগুলে পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক এবং তিক্ত হয়ে উঠবে।
ইউরোপিয়ানরা যদি ২০১৫ সালে সম্পাদিত পরমাণু সমঝোতা চুক্তি পুরোপুরি মেনে না চলে তা হলে ইরানও এর সব শর্ত মেনে চলবে না বলে ইরান হুশিয়ারি দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পরমাণু চুক্তিটি বাঁচানোর একটি পথ খুঁজে পাওয়ারও আশা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরমাণু কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে- এই শর্তে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিতে সই করে ইরান।
ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে ২০১৮ সালের ৮ মে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর এটির বাকি পাঁচ দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরমাণু সমঝোতা মেনে চলার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এ সমঝোতায় ইরানকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয়।
কিন্তু ইরানের দাবি, এক বছরেও সে আশ্বাস বাস্তবায়ন করেনি ইউরোপিয়ান দেশগুলো।
এ পরিস্থিতিতে উপসাগরে তেল ট্যাংকার আটকের ঘটনায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ইরানের উত্তেজনা বেড়েছে। জিব্রালটার উপকূলে ব্রিটিশ রাজকীয় মেরিন বাহিনীর সহায়তায় আটক ট্যাংকার গ্রেস ওয়ান অবিলম্বে ছেড়ে দিতে বলেছে ইরান। তবে যুক্তরাজ্য ট্যাংকার ছেড়ে দেয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে।
দু’পক্ষের এ উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় দেশগুলো।