মিন্নিসহ খুনিদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন রিফাত শরীফের মামা বানারীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মোস্তফা আলম।
বুধবার দুপুরে তিনি বানারীপাড়ায় তার কার্যালয়ে বসে কান্না জড়িত কণ্ঠে এ দাবী জানিয়ে বলেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি রিফাতের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরেও নয়ন বন্ডের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। সে প্রায়ই নয়নের বাসায় গিয়ে অভিসারে মিলিত হতো বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানতে পেরেছেন। নয়নকে পুনরায় ফিরে পেতে মিন্নি তাকে দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে রিফাত শরীফকে হত্যা করিয়েছে। হত্যা করানোর জন্যই ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে রিফাত শরীফকে বরগুনা সরকারী কলেজে নিয়ে যায় সুচতুর মিন্নি। কলেজ থেকে বের হয়ে রিফাত মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরতে চাইলেও মিন্নি কালক্ষেপণ করতে থাকে। রিফাত শরীফের ওপর হামলার সময় মিন্নি মুঠোফোনে শ্বশুর, নিজের বাবা কিংবা অন্য স্বজনদের কাছে বিষয়টি জানিয়ে রিফাতকে রক্ষায় তাদের আসতে বলতে পারতেন। রিফাত শরীফকে নৃশংসভাবে কোপানোর সময় খুনিরা কেন মিন্নিকে আঘাত করলো না, উপরন্তু তার হাত থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া ব্যাগটি খুনিরা কেন তার হাতে তুলে দিলো এ প্রশ্ন তুলে তিনি এ হত্যাকান্ডে মিন্নির শতভাগ জড়িত থাকার দাবী করেন।
তিনি জানান, ওই দিন মেয়ে নিতুর কাছ থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে পেরে বানারীপাড়ার কর্মস্থল থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে দ্রুত ছুটে যান। তার চোখের সামনে প্রিয় ভাগ্নে রিফাত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ভাগ্নের এ নির্মম মৃত্যুর যন্ত্রনা দেখার দৃশ্য তিনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না।
এ ব্যপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ সুপার, গণমাধ্যম ও আদালতের ভূমিকার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তিনি পৈশাচিক এ হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের ফাঁসির দাবী জানিয়ে বলেন, এভাবে আর কারও যেন হত্যাকান্ডের শিকার হতে না হয়। এভাবে আর কাউকে যেন তার স্বজনকে হারাতে না হয়। এ যন্ত্রণা সইবার নয়।