বানারীপাড়ায় চাখারে সালমা আক্তার শান্তার (২২) হত্যাকারী স্বামী আরিফুল ইসলাম মিঠুর(৩০) ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় চাখার হক স্পোটিং ক্লাবের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভ্পাতি খিজির সরদার,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির লুলু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম সরদার ও জহিরুল ইসলাম জাকির,ইউপি সদস্য মেজবাউদ্দিন সোহেল,সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান,নিহত শান্তার বাবা ফারুক হোসেন মোল্লা, মা মাসুদা বেগম সহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। এসময় তারা ঘাতক আরিফুল ইসলাম মিঠুর ফাঁসির দাবী জানান। মানববন্ধন শেষে চাখার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ২২ আগস্ট বিকালে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর নয়াবাড়ি খাসপাড়ায় ভাড়াটিয়া বাসায় যৌতুকের দাবীতে আমিনুল ইসলাম মিঠু তার স্ত্রী সালমা আক্তার শান্তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে মিঠু তার শাশুড়ীকে মুঠোফোনে জানায় শান্তা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।ওই দিন সোনারগাঁও থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে এবং আরিফুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।
এ ব্যপারে সোনারগাঁও থানায় ইউডি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
২৩ আগস্ট বানারীপাড়ার চাখার ইউনয়নের বড় ভৈৎসর গ্রামে বাবার বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে ৪ বছর পূর্বে চাখারের বড় ভৈৎসর গ্রামের ফারুক হোসেন মোল্লার মেয়ে সালমা আক্তার শান্তার সঙ্গে একই বাড়ির মৃত সুলতান হোসেন হাওলাদারের ছেলে ঢাকার সোনারগাঁওয়ে বায়িং হাউসে কর্মরত আরিফুল ইসলাম নামিঠুর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে শান্তাকে তার স্বামী মিঠু শারীরিক ও মানসিভাবে অত্যাচার করে আসছিলো
নিহত শান্তার বাবা ফারুক হোসেন মোল্লা অভিযোগ করেন, সোনারগাঁও থানায় তারা হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। নিরুপায় হয়ে এখন তারা এ ব্যপারে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান।