বরগুনায় ঈদের দিন বিকেলে নদীর তীরে বেড়াতে গিয়ে হামলায় নিহত হৃদয়ের দাফন সস্পন্ন হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবনগোলা গ্রামের নিজ বাড়ি হৃদয়ের দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে হৃদয় হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক তিন জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়ন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের বিচারক মোঃ আব্বাস উদ্দিন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও এ মামলায় গ্রেফতার অপ্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, মামলায় গ্রেফতার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি নোমান কাজি, হেলাল মৃধা এবং হেলাল ফকিরের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় ভার্চুয়াল আদালতে। পরে আদালত তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতার অপর চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরও সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত এ রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তিতে দিন ধার্য করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার বিকেলে বরগুনার পায়রা নদীর পাড়ে গোলবুনিয়া বল্ক ইয়ার্ডে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে যান হৃদয়। এ সময় পূর্বশত্রুতার পাশাপাশি হৃদয়ের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে অভিযুক্তরা উত্ত্যক্ত করলে হৃদয় এর প্রতিবাদ করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে অভিযুক্তরা হৃদয়সহ তার কয়েক বন্ধুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে গুরুতর আহত হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন হৃদয়।
মঙ্গলবার রাতে নিহত হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪-১৫ বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে মামলার এক নম্বর আসামি নোমান কাজি (১৮), দুই নম্বর আসামি হেলাল মৃধা (২৬), ছয় নম্বর আসামি সাগর গাজি (১৬), সাত নম্বর আসামি ইমন হাওলাদার (১৮), আট নম্বর আসামি রানা আকন (১৬), ১২ নম্বর আসামি সফিকুল ইসলাম ঘরামি (১৫) এবং ১৫ নম্বর আসামি হেলাল ফকিরকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।