বিভাগের ৬ জেলায় এখন মোট ৪৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ১০ জনের। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের মধ্যে পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি ব্যতিত ৪ জেলায় ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে বিদেশী নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১৩ হাজার ৯০৯ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যারমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৩ হাজার ৫৩ জনকে, আর এরমধ্যে ১০ হাজার ৮৫৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৮৫৬ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৭৪৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এরবাহিরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৫২৬ জন এবং এরইমধ্যে ২৮৫ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে। এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ২০৮ জন, পটুয়াখালীতে ৪৭, ভোলায় ৪২, পিরোজপুরে ৬৩, বরগুনায় ৫৪ ও ঝালকাঠিতে ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে ১৩৪ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ্য হয়েছেন।
যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া সর্বোশেষ ভোলার লালমোহন উপজেলায় চরভুটা এলকায় আলমগীর নামে ৫০ বছরের এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যা নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ১০ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোট মৃত্যুর মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে ১ জন করে মোট তিনজন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে মোট ২ জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে ১ জন করে মোট ২ জন, বরিশালের মুলাদীতে ১জন, পিরোজপুরের নাজিরপুরে ১ জন ও ভোলার লালমোহনে ১ জন রয়েছেন।