26 C
Dhaka
এপ্রিল ৩০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ বরিশাল

সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বরিশাল নগরবাসী

শেখ সুমন:

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বরিশাল মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, পার্বত্য শান্তি চুক্তির রূপকার,মাননীয় মন্ত্রী জনাব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সন্তান সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

ছিলেন বরিশাল নগরীর একটি ছোট্ট মহল্লায়। খেলাধুলা ও সংগীত চর্চায় শৈশবে নিজেকে জড়িয়ে রাখলেও নগরবাসীর অনেকেই তখন জানতো না সাদিক আব্দুল্লাহর নাম। অবশ্য ইতোমধ্যে নামটির খ্যাতি বরিশাল’র পাড়া-মহল্লা, নগর ছাড়িয়ে এখন দেশও সমধিক উচ্চারিত। ২০১৪ সালে শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে দক্ষিণবঙ্গের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এর পর ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক। বর্তমানে বরিশালের রাজনীতিতে ইতিহাস। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামীলীগের মননীত প্রভাবশালী মেয়র মনোনয়ন পার্থী তিনি।

আর প্রভাবশালী মেয়র প্রার্থী দাবীদার হবেন না কেনো?

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর এখন সকাল-সন্ধ্যা কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বাসার নিচতলার ড্রইংরুমে দেখতে পান অপেক্ষমাণ মানুষের জটলা। কেউ এসেছেন সমস্যা নিয়ে, আবার কেউ বিচারপ্রার্থী হতে। সাদিক সবার কথা শোনেন, সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন কিছুতেই বাদ পড়ছেন না সাদিকের। তাকে ছাড়া যেন নগরবাসীর কোনো অনুষ্ঠানই পূর্ণতা পায় না। সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড শেষে মধ্যরাতে যখন সাদিক ফেরেন তখনো মানুষের আনাগোনা থাকে নগরীর কালীবাড়িস্থ বাসায়।

“এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়”। ঠিক এই লাইনটির মতোই সাদিক নিজের যৌবনকালকে প্রথাগত চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য করে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ঘরসংসার করার জীবন বেছে নেননি। তিনি বেছে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর দৃপ্ত শপথ। লড়াইয়ে রক্তেভেজা রাজপথ, কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠের অনিশ্চিত এক জীবন।

যাদের জীবন শুধু সংগ্রামের, ত্যাগের; যারা দিতে জানে বিনিময়ে কিছু নিতে জানে না প্রকৃত অর্থে তারাই মানুষ। যাদের অনুসরণ করলে প্রকৃত মানুষ হওয় যায়। সে রকম একজন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশালের বর্তমানে খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। নানা ঝড়ঝাপ্টার মাঝেও দলীয় আদর্শে তিনি অবিচল থাকেন। তাইতো দলীয় নেতা কর্মীদের নিকট হয়ে উঠেন বড় অবলম্বন।

নগরভবন ঠিকানা না হলেও বর্তমানে মহানগরীর মানুষ এখন তাকে ‘ভবিষৎ মেয়র’ বলেই সম্বোধন করে। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে ছুটে যায় তার কাছে। সাদিকও নিরাশ করেন না বিপদে পড়া তার প্রিয় নগরবাসীকে। ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে মরহুম শওকত হোসেন হিরনের পরাজয়কে সাদিক আব্দুল্লাহ একটি অভিজ্ঞতা হিসেবেই নিয়েছেন।

আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিকল্প খুজে পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। বেশ কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করলেও তারা বিএনপির প্রার্থীর সমতুল্য নন বলে মনে করছেন তৃণমুল ও জেলা-মহানগর নেতৃবন্দ। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে দল থেকে রেজুলেশন করে সাদিকের মনোনয়ন দাবি করায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। গোপন জরিপ চালিয়ে সাদিক আবদুল্লাহর ব্যাপক জনপ্রিয়তার বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করতে পেরেছে বলে জানা গেছে।

জুন-জুলাইতে অনুষ্ঠিত ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে এবার আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে এ সিটিগুলোতে আওয়ামীলীগ পরাজিত হওয়ায় পরবর্তীতে সরকার পরিচালনা করতেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই এবার সংসদীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে নানা দিক দিয়ে বিবেচনা করে। বিএনপি থেকে মজিবর রহমান সরোয়ার প্রার্থী হবার গুঞ্জন শোনা গেলেও একাধিক সুত্র জানায় সাদিক আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে তিনি প্রার্থী হবেন না। অর্থাৎ সাদিক ছাড়া যে কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরোয়ার লড়াই করতে প্রস্তুত। আর এ দিকটিই সাদিককে এগিয়ে রেখেছে।

বেশ কয়েক বছর ধরে টালমাটাল বরিশাল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যের বাধনে গেঁথেছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। গুটি কয়েক যে কয়জন বিদ্রোহী রয়েছেন তারা এখন ঘরমুখো হওয়ায় সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ যে কোন সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। শওকত হোসেন হিরনের উন্নয়নের জোয়ারের পরও তার পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে এখনও দলীয় কোন্দলকেই চিহ্নিত করা হয়। সে দিক দিয়ে সাদিক আবদুল্লাহ দলকে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন বলে দাবি কর্মীদের। সাদিকের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত জেবুন্নেছা আফরোজ এমপি স্বয়ং বিসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে সাদিকের মনোনয়ন দাবি করে ঐক্যের প্রমান দিয়েছেন। তবে কেন্দ্রে তার বিরুদ্ধে একটি দুর্বল অথচ পিছনে সক্রিয় একটি চক্র বিসিসি নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে। তবে কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি একাধিক গোপন জরিপ চালানো হয়। ঐ জরিপে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করতে হলে সাদিক আবদুল্লাহর বিকল্প তারা খুজে পাননি বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন বর্তমান সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগ যে কোন সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। এর কারন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা। মহানগর আওয়ামীলীগ একারণেই সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন দাবি করে রেজ্যুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল বলেন, জনপ্রিয়তার কারণেই সাদিক আবদুল্লাহর বিপক্ষে কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারই সাহস পাচ্ছে না। এ অবস্থায় দল অবশ্যই সাদিক আবদুল্লাহকে সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে মনোনয়ন দেবে বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী।

সম্পর্কিত পোস্ট

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official