বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো ৩ দিনের নবজাতক শিশুর প্রাণ। এছাড়া ওই সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মা-চাচা, নানীসহ আরো ৭ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
যাদেরকে সোমবার (২২ ফেব্রয়ারি) দুপুরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এরআগে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি নামক এলাকায় যাত্রীবাহি বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানাগেছে জানান, ঘটনার সময় যাত্রীবাহি বাসটি ফরিদপুর থেকে বরিশালের চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশ্যে যাত্রীদের নিয়ে আসছিলো। আর অ্যাম্বুলেন্সটি শেবাচিম হাসপাতাল থেকে নিহত শিশু তার স্বজনদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো।
হঠাৎ করে এ দুটি যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা জানান, এতে অ্যাম্বুলেন্সটির ভেতরে থাকা ৩ দিনের নবজাতক শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এছাড়া শিশুটির মা শাহানা আক্তার জুই, তার মা শাহিনুর বেগম, ভাসুর সাগর, খালা শাশুড়ি ফিরোজা, অ্যাম্বুলেন্সের চালক রেজাউল, হেলপার জহির ও রিমন নামে ৭ জন গুরুত্বর আহত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
হাসপাতালে নবজাতকের স্বজনরা জানান, শাহানা আক্তার জুই এর গ্রামের বাড়ি বরগুনার আমতলীতে।
১ বছর আগে তার সাথে বরগুনা সদরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসায়ী সৈকতের সাথে বিবাহ হলে তারা পরিবারর নিয়ে সেখানেই থাকতেন। সন্তান প্রসব জনিত কারণে তারা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়।
শিশুটির শারিরীক সমস্যার কারনে তাকে জন্মের পর ২০ ফেব্রয়ারি শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে আজ স্বজনরা শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলো। শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ বিন আলম জানান, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
এদিকে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। বাকী আহতদের মধ্যে ২/১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।