বাকেরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে গুরুতর আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ঐ বৃদ্ধকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ৪নং দুধল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কবিরাজ গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মৃত হাতেম হাওলাদার’র বড় ছেলে নুর হোসেন হাওলাদার তার বাড়ির নির্মাণ কাজের জন্য নির্মাণ সামগ্রী পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী জাকির সিকদারের কাছ থেকে ক্রয় করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। ইতিপূর্বে ৪নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য পারভিনের স্বামী ইট-বালু নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম গাজী নুর হোসেন হাওলাদারকে তার কাছ থেকে ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু নুর হোসেন হাওলাদার তার পরিচিত এক ব্যবসায়ীর কাজ থেকে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করলে ক্ষিপ্ত হন সেলিম গাজী ও তার স্ত্রী পারভীন। এরই ধারবাহিকতায় গতকাল বৃদ্ধ নুর হোসেন হাওলাদার তার ক্রয়কৃত ইট-বালু তার জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দিয়ে ভ্যানযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে পরিবহনের চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বর ও তার স্বামী সেলিম গাজী বাধা প্রদান করেন। পাশপাশি রাস্তাটি তাদের একক মালিকানাধীন বলে দাবি করেন। অথচ চলাচলের রাস্তায় একাধিক অংশীদার রয়েছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগে জানান। এদিকে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে বাধা দেয়ায় উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্কের জেরে নারী ইউপি সদস্য পারভীন ও তার স্বামী সেলিম বৃদ্ধ নুর হোসেনের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে বৃদ্ধ নুর হোসেন শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হলে স্থানীয়সহ তার পরিবার তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থা বেগতিক দেখে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষ পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী নুর হোসেনের পরিবার সরশী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও মারধরের অভিযোগ এনে মেম্বর দম্পতিও বাকেরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সরশী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ তারিক হাসান রাসেল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি দেখভাল করছি। এলাকাবাসী জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৪নং দুধল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার পারভিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। সালিশের নামে চাঁদা আদায়, জমি দখল, দালালি, মাদকসেবিদের আশ্রয় প্রশ্রয়সহ নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে এলাকায় গড়ে তুলেছেন তার নিজস্ব বাহিনী। কেউ তার কথার অবাধ্য হলেই নেমে আসে নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৪নং ওয়ার্ড কবিরাজ গ্রামের হাওলাদার বাড়ির নুর হোসেন’র ওপর হামলা চালায় পারভিনের ক্যাডার বাহিনী। তবে অভিযুক্ত সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পারভীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকান করে জানান, আমরা হামলা করিনি। উল্টো তারাই আমাদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। এতে আমি ও আমার স্বামী আহত হয়েছি।