শেখ সুমন:
আগামী ৩০ শে জুলাই ২০১৮ ইংরেজি তারিখে কোনও আইনগত সমস্যা না থাকলে অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটিকর্পোরেশনের ( বি.সি.সি .) নির্বাচন। নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি।
ইতিমধ্যেই আলোচনায় শির্ষবিন্দুতে রয়েছেন আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থী। একজন হলেন দক্ষিণাঅঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক এবং মন্ত্রীর মর্যাদা সম্পন্ন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর পুত্র ,বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবরত্ন সেরনীয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।অপরজন হলেন বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অবসরপ্রাপ্ত ,কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম।
তবে সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সাদিক আব্দুল্লাহ। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত বরিশাল সিটিকর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র বিএনপির আহসান হাবিব কামাল। যিনি গত ২০১৩ সালের নির্বাচনে সেই সময়ের জনপ্রিয় মেয়র, বরিশালের উন্নয়নের রূপকার,আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত শওকত হোসেন হিরনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।
কিন্তু শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পরে বরিশাল মহানগরীর হাল ধরেন যুবরত্ন সাদিক আব্দুল্লাহ। শুধু আওয়ামীলীগে নয় বিএনপির অনেক নেতাদের প্রিয় মানুষ সাদিক আব্দুল্লাহ। যে কারনে বিএনপি থেকে অনেক নেতা আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজিয়েছেন সাদিক আব্দুল্লাহ। নগরীর মজুর,যুবার,আবাল,বৃদ্ধা,বনিতা,ছাত্র,শিক্ষক সবাই এখন সাদিক আব্দুল্লাহকে এক নামে চেনেন।যুবসমাজের কাছে এক আলোচিত নাম সেরনীয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। যে কারনে সবাই মনে করছে যে, বিএনপি অধ্যুষিত এই এলাকায় সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যাতিত অন্য কেউ আঘাত হানতে পারবেনা।
ইতিমধ্যেই বিএনপির হেভিওয়েট নেতা যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন যে, আওয়ামীলীগ থেকে সাদিক আব্দুল্লাহ নির্বাচন করলে বিএনপি থেকে তিনি নির্বাচন করবেন না।সাদিক ছাড়া যে কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরোয়ার লড়াই করতে প্রস্তুত। আর এ দিকটিই সাদিককে এগিয়ে রেখেছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে টালমাটাল বরিশাল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যের বাধনে গেঁথেছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। গুটি কয়েক যে কয়জন বিদ্রোহী রয়েছেন তারা এখন ঘরমুখো হওয়ায় সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ যে কোন সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী।
শওকত হোসেন হিরনের উন্নয়নের জোয়ারের পরও তার পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে এখনও দলীয় কোন্দলকেই চিহ্নিত করা হয়। সে দিক দিয়ে সাদিক আবদুল্লাহ দলকে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন বলে দাবি কর্মীদের। সাদিকের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত জেবুন্নেছা আফরোজ এমপি স্বয়ং বিসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে সাদিকের মনোনয়ন দাবি করে ঐক্যের প্রমান দিয়েছেন। তবে কেন্দ্রে তার বিরুদ্ধে একটি দুর্বল অথচ পিছনে সক্রিয় একটি চক্র বিসিসি নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে। তবে কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি একাধিক গোপন জরিপ চালানো হয়। ঐ জরিপে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করতে হলে সাদিক আবদুল্লাহর বিকল্প তারা খুজে পাননি বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন বর্তমান সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগ যে কোন সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। এর কারন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা। মহানগর আওয়ামীলীগ একারণেই সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন দাবি করে রেজ্যুলেশন করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল বলেন, জনপ্রিয়তার কারণেই সাদিক আবদুল্লাহর বিপক্ষে কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারই সাহস পাচ্ছে না। এ অবস্থায় দল অবশ্যই সাদিক আবদুল্লাহকে সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে মনোনয়ন দেবে বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী।