বয়স, শারীরিক অসুস্থতা, দুর্নীতির অভিযোগ এবং ভালো পারফরম্যান্সের অভাবের কারণে মন্ত্রিসভায় থাকতে পারছেন না প্রায় এক ডজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। এই তালিকায় রয়েছেন প্রভাবশালী একাধিক মন্ত্রীও। তারুণ্যনির্ভর মন্ত্রিসভা গঠন করার লক্ষ্যের কারণেও এদের অনেকেই ছিটকে পড়বেন। এছাড়াও বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের বেশ কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে তাঁদের কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন। এবার তাঁদের বিদায় নিতে হবে বলে জানা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অতীতের সকল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে রয়েছে। সেসব কিছু বিবেচনায় নিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে অদক্ষ এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকা মন্ত্রীদের বাদ দেবেন তিনি। কেননা আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের অঙ্গীকার রয়েছে।
এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাদ পড়ার আলোচনায় রয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় প্রমুখ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিশ্চিতভাবে বাদ পড়ছেন বলে জানা গেছে।
বয়সের কারণে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী শাহজাহান কামালের বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বাদ পড়তে পারেন বলে দলের শীর্ষ মহলে আলোচনা রয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় কে থাকবে আর কে থাকবে না তার সব কিছুই নির্ভর করছে আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার ওপর।