অনলাইন ডেস্ক:
ছাত্র ভর্তিতে টাকা আদায়ের প্রমাণ পেয়ে বরখাস্ত করা হল মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নূরজাহান হামিদাকে। এদিকে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নূরজাহান হামিদার বিরুদ্ধে ভাউচার এবং কোনো প্রমাণ ছাড়া ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এই টাকা গরীব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বাণিজ্য করে আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদক।
এ বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির জন্য বেআইনিভাবে অর্থ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাকে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে সোমবার ২৮ জানুয়ারি দুদকের হটলাইনে (১০৬) ভুক্তভোগী অভিভাবকরা অভিযোগ জানালে- দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপসহকারী পরিচালক মোঃ সবুজ হাসানের সমন্বিত টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করে।
এ সময় দুদকের অভিযানে দেখা যায়, অভিভাবকদের নিকট হতে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা বাধ্যতামূলকভাবে বিনা রশিদে ১০০০- ১৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন। এমনকি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সন্তানদেরও বিনামূল্যে ভর্তি করানো হয়নি, বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
তাছাড়া ২০১৯ সালে ভর্তি বাবদ ঐ প্রধান শিক্ষক এ যাবত এভাবে ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। এসব টাকার কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা হয়নি। এদিকে অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুদক শিক্ষা সেক্টরে দুর্নীতির শেকড় উৎপাটনে কঠোর অভিযান চালাবে।
তবে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও প্রতিরোধমূলক মানসিকতা থাকতে হবে। শিগগির বেআইনিভাবে আদায়কৃত অর্থ অভিভাবকদের কাছে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।