এপ্রিল ২৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আন্তর্জাতিক বিনোদন

রহস্যময়ী ক্লিওপেট্রার অজানা কাহিনী

বিউটি কুইন ক্লিওপেট্রা। কিন্তু কয়েনে তার যে ছবিটি ছিল সেখানে মোটেও আকর্ষণীয় দেখাচ্ছিল না তাকে। বেশ সাদামাটা চেহারার পুরুষালি নারী মনে হয়েছে তাকে। তবে সৌন্দর্যের উপমা দিতে গিয়ে ‘ক্লিওপেট্রার মতো সুন্দর’ বলা হয় অনেক সময়। কারণ তার নাম শুনলেই মানুষের মনে ভেসে উঠে খাড়া নাক, টানা চোখের নারীর কাল্পনিক ছবি।

মনে হতে পারে, একটি কয়েন দেখে তো আর চেহারা সম্পর্কে ধারণা করা যায় না। তবে, বিষয়টি একটি কয়েনে সীমাবদ্ধ না। এ পর্যন্ত যতগুলো কয়েনে ক্লিওপেট্রাকে পাওয়া গেছে, সবগুলোর সাদৃশ্য আছে। সবগুলোতেই ছুঁচালো নাক এবং থুঁতনি দেখা গেছে। খুব সাদামাটা চেহারায় পাওয়া গেছে তাকে, এলিজাবেথ টেইলরের মতো নয়। তাই হলিউডের ক্লিওপেট্রার যে চেহারা মানুষের কল্পনায় গেঁথে গেছে, বাস্তবের ক্লিওপেট্রা তার থেকে একেবারেই আলাদা বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েন পোট্রেটগুলোকে ‘ভুল’ ভাবা যায় না কোনো মতেই। কারণ কয়েনগুলো সেই সময়কার। বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েনগুলো সংগ্রহ করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে যে একটি অফিসিয়াল ছবি দেখে তৈরি করা হয়েছে সবগুলো। আর অফিশিয়াল সেই ছবি আঁকা হয়েছিল রানীকে সামনে বসিয়ে কোনো দক্ষ চিত্রকরের হাতে। তাই অনুমান করে আঁকার প্রশ্নই আসে না। ক্লিওপেট্রার বাবার যেসব ছবি কয়েনে দেখা গেছে, সেগুলোর সঙ্গেও কয়েনের ক্লিওপেট্রার চেহারার মিল আছে।

ক্লিওপেট্রার প্রেমিকদের সঙ্গেও কিন্তু মডার্ন কনসেপ্ট এর মিল নেই। প্রেমিক বলতেই যেমন সুদর্শন তরুণ মনে হয়, ব্যাপারটা সে রকম ছিল না। মধ্যবয়সী সিজারের মুখে ছিল বলিরেখা। মাথায় টাক ছিল। সেই টাক ঢেকে রাখা হতো মুকুটে। অ্যান্থনির থুঁতনি ঝুলে পড়েছিল। নাক ছিল ভাঙা। অর্থাৎ তারা কেউই সুদর্শন ছিলেন না।

কয়েনগুলোর বেশিরভাগই খ্রিষ্টপূর্ব ৩০ অব্দের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে। তখন ক্লিওপেট্রার বয়স ছিল তিরিশের বেশী। হলিউড তাকে যতটা সৌন্দর্যপ্রেমী আবেদনময় নারী হিসেবে দেখিয়েছে, বাস্তবে তিনি এতটা ছিলেন না বলে ধারণা করা হয়। তবে তিনি অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান এবং শক্তিধর নারী ছিলেন। তাছাড়া খুব বুদ্ধিমান ছিলেন। প্রচণ্ড উচ্চাভিলাষ ছিল। খুব সহজেই সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারতেন। নিজের মতে অটল থাকতেন এবং সবাইকে কীভাবে বশ করতে হয় সেটাও জানতেন। সম্মান করে তাকে অনেকে দেবীর সঙ্গেও তুলনা করেন।

ক্লিওপেট্রা আগাগোড়াই রহস্যে ঘেরা ছিলেন। মাত্র ৩৯ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়ে তিনই গড়েছেন তার দৈনন্দিন জীবন, প্রেম, মৃত্যু সবকিছুতেই ছিল রহস্য। এই রহস্যই তার প্রতি আকর্ষণ তৈরি করছে যুগে যুগে।

অবশেষে কি খুঁজে পাওয়া গেল অ্যান্টনি-ক্লিওপেট্রার সমাধিস্থল? সেই সেনানায়ক মার্ক অ্যান্টনি, যিনি রোমের পূর্ব প্রান্তের রাজ্যগুলো দেখতেন আর মিসরের রানি ক্লিওপেট্রার সঙ্গে থাকতেন। দুই হাজার ৫০ বছর আগে মারা যান তাঁরা। বহু বছর ধরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা খুঁজে চলেছেন তাদের সমাধি। অবশেষে নাকি সেই সমাধির খোঁজ পাওয়া গেল।

প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস বলেন, আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ১৮ মাইল দূরে প্রাচীন শহর তাপোসিরিস মাগনা, সেখানেই দুই ঐতিহাসিক ব্যক্তি শায়িত আছেন। একই সমাধিতে দুজনকে সমাহিত করা হয়েছিল। ইতিহাসে অ্যান্টনি-ক্লিওপেট্রার প্রেমের কথাই ফিরে এসেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

জয়া যেন উঠতি বয়সি তরুণী, ভাইরাল ভিডিও

banglarmukh official

দিল্লির ঘরে ঘরে জ্বর!

banglarmukh official

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ২৭ সন্ত্রাসী নিহত

banglarmukh official

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক, জিম্মি শতাধিক

banglarmukh official

আইসিইউ থেকে পালালেন ‘কোমা’য় থাকা রোগী, হাসপাতালের ভয়ঙ্কর জালিয়াতি ফাঁস

banglarmukh official

বিয়ের পর ফের সুখবর পেলেন মেহজাবীন

banglarmukh official