১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায় বিডিআর। শেখ হাসিনাকে প্রাণে বাঁচাতে সেদিন নিহত হন ছাত্রলীগ-যুবলীগের অসংখ্যা নেতাকর্মী। সরকারি হিসেবে ২৪ জন মারা যাওয়ার দাবি করা হলেও অসংখ্য লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল বলে জানা যায়।
সেদিনের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে যারা ফিরেছেন তাদের মধ্যে একজন অমল কান্তি দাশ। বিডিআরের গুলিতে তার মুখের চোয়াল ভেঙ্গে গিয়েছিল। প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনো মুখে সেই ক্ষতচিহ্ন বহন করে চলেছেন তিনি।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নির্মমতার শিকার অমল কান্তি দাশ বলেন, হাসিনার বুকের গভীরে যে ক্ষত সেই তুলনায় নিজের মুখের ক্ষত বড় নয়। অনেকে আমাদের ত্যাগী বলে। কিন্তু আমি আমাকে ত্যাগী মনে করিনা। কারণ, এই দেশের জন্যই শেখ হাসিনা তার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছেন। পুরোপুরি এতিম হয়েছেন। সেখানে আমি গুলিবিদ্ধ হওয়া কোন বড় ঘটনা নয়। আমাদের নেত্রী দেশের জন্য পরিবারের সবাইকে হারিয়ে এতিম হয়েছেন। তার হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ সেই তুলনায় আমাদের ত্যাগ তুচ্ছ।
তিনি বলেন, নিজের চেয়েও বেশী ভালবাসি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই আমার রাজনীতির স্বার্থকতা।
অমল কান্তি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এটাই আমাদের জীবনের বড় সান্ত্বনা। এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কোন কিছু নেই। আমি যদি কোনো দিন সুযোগ পাই প্রধানমন্ত্রীকে একটিবার পা ছুঁয়ে শুধু সালাম করতে চাই। এছাড়া আমার আর কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।