পরলোক গমন করেছেন একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ভাষা সৈনিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক নিখিল সেন গুপ্ত।
আজ সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে বরিশাল নগরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি হৃদ রোগ সহ বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন।
নাটকে একুশে পদক প্রাপ্ত নিখিল সেন ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের কলশ গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা যতীশ চন্দ্র সেন গুপ্ত ও মা সরোজিনী সেনগুপ্ত। তিনি পরিবারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৪র্থ সন্তান ছিলেন।
জানাগেছে, আবৃতিতে অবদান রাখে ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন নিখিল সেন গুপ্ত। নাটকে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখহা সিনার হাত থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক সম্মাননা অর্জন করেন পতিথযশা এই ব্যক্তি।
এছাড়াও ১৯৯৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা ও ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী সম্মাননা অর্জন করেন নিখিল সেন গুপ্ত। তার জীবনের প্রথম নাটক সিরাজের স্বপ্ন। ওই নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই থেকে নাট্যজীবন শুরু হয় তার।
রাজনৈতিক জীবনে কমিউনিস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীন তাযুদ্ধে অংশ নেন। এছাড়া ৫২’র ভাষা আন্দোলনেও তার ভুমিকা ছিলো। মঙ্গলবার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বরিশাল আদীস্মশানে প্রয়াতের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।