26 C
Dhaka
জুলাই ৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ঢাকা

ঘুষ না দেয়ায় ৪৮ বছরেও স্বীকৃতি মিলেনি মুক্তিযোদ্ধার

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হলে নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন। ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও জমা দেন তিনি। তবে নিজ জেলার কমাণ্ডার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ঘুষ দাবি করেন। ঘুষের টাকা না দিতে পারায় মিলেনি স্বীকৃতি।

রাজশাহী বিশ্বব্যিালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সাবেক টেলিফোন অপারেটর মকবুল হোসেন। ১৯৬২ সালে রাজশাহী
বিশ্বব্যিালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় টেলিফোন অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর পর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সবাইকে এক হতে বললে বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হক, গণিত বিভাগের আফতাবুল রহিম, রসায়ন বিভাগের জিল্লুর রহমান, গণিত বিভাগের এনায়েতুর রহিম এর পরামর্শে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শরীরে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের অনেক আঘাতও রয়েছে বলে জানান তিনি।

মকবুল হোসেন বলেন, যুদ্ধ চলাকালে তার বয়স ১৭ বছর। তার কাজ ছিলো পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা কোথায় যাচ্ছে, কোথায় অপারেশন করবে? কোন এলাকায় হামলা করেছে এরকম তথ্যগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌছে দিতেন তিনি। এছাড়া কাজ ছিলো টেলিফোন লাইন উল্টোপাল্টা করে পাকিস্তানিদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন এভাবেই।

সোমবার বিকেলে বিশ্বব্যিালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চান তিনি। তিনি জানান, ৭ নং সেক্টরে বিশ্বব্যিালয় এলাকায় ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিনের অধীনে যুদ্ধে অংশ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের একটি ঘটনা সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন, ‘যুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ১৮ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের খবর নিয়ে আসার সময় আমাকে বিশ্বব্যিালয়ের শামসুজ্জোহা হলে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেদিন রাতে আমিসহ সবাইকে চোখ বেধে বদ্ধভূমিতে নিয়ে যায় এবং সেখানে সবাইকে হত্যা করা হয়। এ দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গলা থেকে রক্ত ঝড়ছে। পুকুরের মধ্যে পড়ে আছি।

পরে কোন মতে বেচে ফিরি।’ মকবুল হোসেনের পরিণতি এখন চা বিক্রেতা। ৩ সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। ভরণপোষণও দেন না তাকে। বৃদ্ধ বয়সে ভরণপোষনের জন্য ছোট ছেলে আল আমিন কে নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা বিক্রি করেন। মকবুল হোসেনের এখন একমাত্র দাবি শেষ বয়সে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে চান। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মকবুল হোসেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

হিজবুত তাহরীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

banglarmukh official

সাংবাদিকরা ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে

banglarmukh official

ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা এখন এক নর্দমা

banglarmukh official

ফিল্মি স্টাইলে আদালত চত্বর থেকে আসামি ছিনতাই চেষ্টা

banglarmukh official

সাভারে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, নিহত ৩

banglarmukh official

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারীসহ দগ্ধ ৪

banglarmukh official