পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের ঝুলন্ত তার ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আজ শনিবার সংসদে সরকারি দলের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা শহরের রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত তার অপসারণ করে ভূগর্ভে পাঠানোর জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিও রয়েছে। ইতিমধ্যে এই কমিটির মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর প্রধান প্রধান শহরের ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ঝুলন্ত তার ভূগর্ভে যাবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে চারটায় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটির ফুটপাত সংস্কার ও উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর আওতায় ফুটপাত প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ঢাকা-৪ আসনের এলাকায় সরকারি কোনো খাসজমি পাওয়া গেলে এবং এ বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেলে আধুনিক মাঠ ও মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এম এ মতিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের আওতায় নির্মিত মিনি স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট এই প্রকল্পের ১৩১টি উপজেলার মধ্যে ৬৬টি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেন।
অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দেশের সব জেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণের কাজ চলমান আছে। বিতরণ করা জেলাগুলোতে এখনো যাঁরা স্মার্ট কার্ড পাননি, তাঁদের অচিরেই কার্ড দেওয়া হবে।