26 C
Dhaka
জুলাই ৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ প্রশাসন

পাবনায় অন্যের নাম ও সনদ ব্যবহার করা ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতার

অন্য ব্যক্তির সনদ ও বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে পাবনার ভাঙ্গুড়ার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ওই ভুয়া চিকিৎসকের নাম মাসুদ রানা। সে জেলার সৈয়দপুরের হাতিখানা গ্রামের শেখ মোঃ আব্দুল হান্নানের ছেলে মাসুদ রানা।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে পাবনার একটি ক্লিনিকে লক্ষাধিক টাকা বেতনে কর্মরত থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি ঢাকার ডা: মাসুদ করিমের নাম, বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর ও সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ভুয়া চিকিৎসককে নীলফামারী জেলা পুলিশের সহায়তায় সৈয়দপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাকে পাবনায় আনা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, প্রকৃত চিকিৎসক নিজে আমার নিকট এসে বলেছেন তিনি ১৯৯০-৯১ সেশনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এমবিবিএস শেষ করে নিবন্ধন পান বিএমডিসির, যার নিবন্ধন নং ৩৩৩৬০। বর্তমানে ঢাকার খিলগাঁওয়ে নিজস্ব ডক্টরস চেম্বারে প্রাইভেট চিকিৎসা দেন। স্থায়ী ঠিকানা ফেনীর সোনাগাজী। বাবার নাম আব্দুস শাকুর। বন্ধু চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানতে পেরে পাবনায় ছুটে আসেন তিনি। তার নাম-পরিচয় ও নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে একজন চিকিৎসক সেজে কাজ করছেন, বিষয়টি তার নিকট খুবই অপমানজক বলেও জানান তিনি।

গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, পরে তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখায় এবং পাবনা সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ দেন। সম্প্রতি তার একটি ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন প্রকৃত চিকিৎসক মাসুদ করিমের বন্ধু মাহবুব উল কাদির। আর চিকিৎসক বন্ধুদের সহায়তায় বিষয়টি জানতে পেরে পাবনায় ছুটে আসেন আসল ডা. মাসুদ করিম। এমন প্রতারণায় বিস্মিত হন তিনি।

জানা যায়, ঘটনা জানাজানি হওয়ায় গা ঢাকা দেন কথিত ভুয়া চিকিৎসক মাসুদ রানা। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএর পাবনা শাখার আজীবন সদস্যও ছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনাও হয়। পরে প্রকৃত ডা: মাসুদ করিম জেলা সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

বিষয়টি নিয়ে ভাঙ্গুড়া হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের মালিক আব্দুল জববার জানান, তার কাগজপত্র দেখে কখনও মনে হয়নি তিনি ভুয়া চিকিৎসক। আর তিনি আমার এখানে চাকরি করার আগে পাবনা শহরেও দীর্ঘদিন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

বগুড়ায় স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

banglarmukh official

রমজানে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বরিশাল

banglarmukh official

ডেভিল হান্টে গ্রেফতার আরও ৬৭৮

banglarmukh official

দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা সদস্যদের যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান

banglarmukh official

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি

banglarmukh official

১২ পুলিশ সুপারকে বদলি

banglarmukh official