কির্তনখোলা নদীতে নৌ-পুলিশ কম্বিং অপরেশন চালিয়ে ব্যাপক পরিমান বাধা জাল উদ্ধার ও নদীতে গাছ-গাছালি ঝাউ আগাছা মুক্ত করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল বেলা সাড়ে তিনটায় বরিশাল অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে কির্তনখোলা নদীর বেলতলা ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন নৌপথ স্থানে অভিযান চালিয়ে নদীর তীরে বাধা জাল ফেলে মাছের পোণা নিধন করা মুক্ত করেন। এসময় নদীর বিভিন্নস্থানে বিভিন্ন গাছ-গাছালি ঝাউ ফেলে নদী দখল করা অবমুক্ত করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমাউন কবির, সহকারী পুলিশ সুপার দ্বীন আলম ও বরিশাল সদর নৌ-থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ এসআই মাসুমসহ বিভিন্ন নৌ-পুলিশ সদস্য।
অভিযানকালে নৌ-পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন- গত অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত দেশব্যাপি ঝাটকা নিধন প্রতিরোধ করার কাজে বরিশাল নৌ-পুলিশ সর্বাত্মক কাজ করছে। আমরা নদীতে ঝাটকা নিধন অভিযানকালে প্রায় ৮৭ হাজার কেজি ঝাটকা ইলিশ উদ্দার করাসহ প্রায় ৬ কোটি মিটার কারেন্ট ও বাধা জাল নদী থেকে উদ্ধারের পাশাপাশি ৩২৩ জন অবৈধভাবে ঝাটকা নিধনের সময় তাদেরকে নৌ-পুলিশ সদস্যরা আটক করে। এ সময়কালে আমরা ১শত ৩৪টি বরিশালের বিভিন্ন নদীতে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ২৮টি বিভিন্ন ধরনের নৌযান আটকসহ ৬৯টি মামলা দায়ের করেছি।
অন্যদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমাউন কবির বলেন- তাদের কম্বিং অপরেশনের প্রথমধাপে ৪ই জানুয়ারী থেকে ১০ই জানুয়ারী ১ সপ্তাহে ৩২টি মোবাইল কোর্ট দিয়ে ৫৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৭ শত ১০ মিটার জাল উদ্ধার করার পাশাপাশি ৮ হাজার ৭ শত ৩৮ কেজি ঝাটকা ইলিশ উদ্ধার করা হয়। এই কম্বিং অপরেশনের সময় ১টি নৌযান আটকসহ ৭ টি মামলা দেওয়াসহ ৬১ জনকে আটক করা হয়। অপরেশনের দ্বীতিয়ধাপে ১৯ জানুয়ারী থেকে ২৬ জানুয়ারী পর্যন্ত নদীতে অভিযান করে ৬১ লক্ষ ৮০ হাজার ৩১০ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়।এসময় আমরা ৩০ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ হাজার ৩০৯ কেজি ইলিশ উদ্ধার করার পাশাপাশি ৪টি নৌযান আটক ও ১৫টি মামলায় ৫৪ জনকে গ্রেফতার করি। অন্যদিকে তৃতীয়ধাপের অভিযানে ৩ ফেব্রয়ারী থেকে ৯ই ফেব্রয়ারী পর্যন্ত ৪৮১১৩৭০ মিটার কারেন্ট ও বাধা জাল উদ্ধার ও ৬০৫০ কেজি ঝাটকাসহ ৩টি নৌযান আটক ২০ মামলায় ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্টে হস্তান্তর করি।
তিনি এসময় আরো বলেন- নৌ-পুলিশ আগামী সরকার ঘোষিত ও মৎস্য আইন অনুযায়ী আগামী জুন পর্যন্ত ঝাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। আমরা নদীতে সর্বাত্মক অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ ঝাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ গ্রহন করে যাব।
একই সময় বলেন- কেহ ঝাটকা ২শ’ গ্রাম নিধন না করে ওকে বড় কেজি সাইজের হতে দেন তাতে আপনারাই বেশি লাভবান হবেন।