বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। যিনি পরিচিত ‘অ্যাকশন’ মেয়র হিসেবে। বরিশাল নগরীর উন্নয়নে দিন-রাতে করে যাচ্ছেন অক্লান্ত পরিশ্রম। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে ফুটপাত হকারমুক্ত অভিযান, অবৈধ দখলদারদের বরিশাল নগরীর ছাড়া, খালসহ স্থাপনা রক্ষা, বিসিসির বকেয়া ট্যাক্স বা বিল আদায়ে অভিযানসহ সবকিছুতেই দক্ষতা দেখিয়ে চলছেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। আবারো নগরীর রাস্তা তৈরীতে তার ‘কৌশলী’ ভূমিকায় দীর্ঘমেয়াদে সুফল ভোগ করবে নগরবাসী। নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা তৈরীর কাজ করে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন।
সরেজমিনে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা তৈরীতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ‘কৌশলী’ ভূমিকা পালন করছেন। দীর্ঘমেয়াদি রাস্তা তৈরীতে তিনি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। ৫ বছরের মধ্যে যে কোন ধরনের সংস্কার কিংবা মেরামত প্রয়োজন হলে ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে সেগুলো মেরামত করে দেবেন। নগরীর চৌমাথা, বগুড়া রোড, শিতলাখোলা, আলেকান্দাসহ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর রাস্তা তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে। ২০০২ সালে সিটি কর্পোরেশন গঠিত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর অন্তত ২-৩ বার মেরামত-সংস্কার করা হতো গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। প্রতি বারই হতো অর্থের অপচয়। মেরামতের কিছুদিন পরই খানাখন্দে ভেরে যেত সড়কটি। আর ভোগান্তিতে পড়তে হতো নগরবাসী সহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত লাখো মানুষকে। বর্ষায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যেত। তাই এমন দীর্ঘমেয়াদি রাস্তা তৈরী করে ‘কৌশলী’ ভূমিকা পালন করছে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা সোহেল জানান, মহাসড়কের আদলে সিটির মধ্যে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে দির্ঘ মেয়াদী ফল পাওয়া যাবে। নগরবাসী ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।
বিসিসির একটি সূত্র বলছে, আগে এসব সড়ক বছরে দুই তিনবার সংস্কার মোরামত হতো। এবার তিনি বরিশালে সড়ক বিভাগের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে কাজ শুরু করেছেন। তারা ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করছেন। এই সময়ের মধ্যে সড়কে যে কোন প্রকার সংস্কার প্রয়োজন হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করে দেবে।
এর আগেও রাস্তা নির্মাণ করে বাজিমাত করছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। বরিশাল নগরীর অভ্যন্তরে প্রথমবারের মতো আধুনিক পেভার মেশিন দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
নগরবাসীর সাথেও আলাপকালে জানা গেছে, তারা দীর্ঘমেয়াদি রাস্তার এমন সুফল ভোগ করবে আগামী দিনগুলোতে। সংশ্লিষ্ট অনেকেই সাদিক আবদুল্লাহ’র এমন কাজের প্রশংসা করছেন।