স্টাফ রিপোর্টার//
বরিশালের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর নিরাপত্তাব্যবস্থা একেবারেই ঢিলেঢালা। উড়োজাহাজ ওঠানামার সময় কিছুটা নিরাপত্তা থাকলেও অন্য সময় বন্দরগুলো হয়ে পড়ে অরক্ষিত। তখন চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে ঢুকতে পারে। বরিশাল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের এমন চিত্র দেখা গেছে।
অবশ্য গত রোববার রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ‘ছিনতাইচেষ্টা’র পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সব বিমানবন্দরে পাহারা স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।
বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গত সোমবার সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তার কোনো ফাঁক রাখা হচ্ছে না। সবাইকে সতর্কভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার দিক থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত বিমানবন্দর হলো বরিশাল। চারপাশের সীমানাপ্রচীর থাকলেও কয়েকটি স্থান ভেঙে গেছে। প্রাচীরের নিচে মাটি না থাকায় ফাঁকা স্থান দিয়ে হুটহাট লোকজন ঢুকে পড়ছে রানওয়েতে। আবার উত্তর পাশের বেশ কিছু জায়গায় সীমানাপ্রাচীরই নেই।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা মোকাবিলায় দুটি ‘রেসকিউ অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং’ (আরএফএফ) যান থাকলেও প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। আটজনের স্থলে লোকবল আছেন পাঁচজন। আবার কন্ট্রোল টাওয়ারে চারজন লোকবলের স্থলে আছেন একজন। এই বন্দরে সপ্তাহে ১৪টি অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ চলাচল করছে।
জানতে চাইলে বরিশাল বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক রথীন্দ্রনাথ চৌধুরী বলেন, রহমতপুর থেকে বাবুগঞ্জ যাওয়ার সড়কে নিরাপত্তাপ্রাচীর খুবই অরক্ষিত। নিচ দিয়ে লোকজন ঢুকে পড়ে। এটা উঁচু করা এবং নিচে মাটি ফেলে ভরাট করা প্রয়োজন।