নিউজ ডেস্ক:
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর বন্দর পয়েন্টে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে খেয়া পারাপার। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, বন্দর এলাকা থেকে খেয়াঘাট সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আর নৌ পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনা এড়াতে সব সময় রয়েছে নজরদারি।
কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম পাড়ে বরিশাল নগরী আর পূর্ব পাড়ে চর কাউয়া। নদী বন্দর পয়েন্টে রয়েছে চর কাউয়া খেয়াঘাট। প্রতিদিন এই পয়েন্টে লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু যাত্রীবাহী বড় বড় লঞ্চ ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের সময় খেয়া পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্ষায় অবস্থা হয় আরো বিপজ্জনক।
স্থানীয়রা বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কষ্ট হয়। লঞ্চ, কার্গো, ট্রলারের সাথে ধাক্কা লেগে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। ব্রিজ থাকলে মানুষের দুর্ভোগ কমতো বলে মনে করেন তারা।
বিআইডব্লিউটিএ-র কর্মকর্তা আজমল জানান, এলাকা থেকে খেয়া সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এটি দ্রুত স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে।
অবশ্য নৌ-পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নজরদারি রয়েছে তাদের। সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, লঞ্চ যখন যায় তখন ঢেউয়ে অসুবিধা হয়। তাদের সচেতন করার জন্য আমরা প্রায়ই তাদের বলি ওভার লোড না করার জন্য।
কীর্তনখোলা নদীর বন্দর পয়েন্টে চলাচলকারী খেয়া নৌকার সংখ্যা ১০৫ টি।