জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আগামী রবিবার আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের এ বিষয়ে করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
জয়নুল আবদীন আদালতে বলেন, বিচারিক আদালত থেকে নথি আসা সংক্রান্ত আদেশের ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে। নথি এসেছে কি না আমরা জানি না। তখন আদালত বলেন, এ বিষয়ে রবিবার আদেশ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পরপরই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগার ভবনে। সেই দিন থেকে এখনো কারাগারেই রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফাইড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। পরদিন বিকেল সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আপিল (ক্রিমিনাল আপিল নং- ১৬৭৩/১৮) দায়ের করেন। এরপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্ট বলেন, বিচারিক আদালত থেকে নথি আসার পর এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।