27 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ

ঐতিহাসিক ২ মার্চ: বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেয় ছাত্রলীগ

আজ ২ মার্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ছাত্রসমাবেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়। সবুজ, লাল, সোনালি এই তিন রঙের পতাকাটি সেই যে বাংলার আকাশে উড়েছিল, তা আর নামাতে পারেনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সরকার।

একাত্তরের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বতঃস্ম্ফূর্ত হরতাল পালিত হয় এবং তাঁর নির্দেশে সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভায় স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এ পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব প্রদান করেন ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ, ডাকসু সহ-সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন।

পরে এ পতাকা নিয়ে আন্দোলিত রাজপথ মুখর হয়ে ওঠে স্লোগানে স্লোগানে- ‘জাগো জাগো, বাঙালি জাগো’; ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’; স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা, শেখ মুজিব শেখ মুজিব’; ‘বঙ্গবন্ধু এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’; ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’; ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, সোনার বাংলা মুক্ত করো’; ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘পাঞ্জাব না বাংলা, বাংলা-বাংলা’; ‘ভুট্টোর মুখে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’; ‘স্বাধীন করো স্বাধীন করো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ছাত্র নেতৃবৃন্দের বিশাল একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সমবেত হয়।

এদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে দু’জন নাগরিক প্রাণ হারানোর সংবাদে বঙ্গবন্ধু এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেন এবং ৩ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সেদিন সচিবালয়েও পাকিস্তানি পতাকা নমিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা পতাকা উড়ানো হয়। সেদিন রাতে হঠাত্ করে বেতার মারফত ঢাকা শহরে কারফিউ জারি করা হয়। সামরিক কর্তৃপক্ষ সান্ধ্য আইন জারি করলে জনতা তা অমান্য করে ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর কুশপুত্তলিকা দাহ করে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কারফিউ’র বিরুদ্ধে প্রবল স্লোগান তুলে ‘সান্ধ্য আইন মানি না’, ‘জয় বাংলা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। সমস্ত শহরে কারফিউ ভঙ্গ করে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। ডিআইটি এভিনিউয়ের মোড়, মর্নিং-নিউজ পত্রিকা অফিসের সামনে রাত সাড়ে ৯টায় সামরিক বাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official