26 C
Dhaka
জুলাই ৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আন্তর্জাতিক জাতীয়

বাংলাদেশকে সতর্ক করলো জাতিসংঘ

পিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর করলে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ হওয়ার কথা উল্লেখ করে এমন সতর্কতা জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। সোমবার (১১ মার্চ) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে তিনি জানান, দ্বীপটি প্রকৃতপক্ষে বাসযোগ্য কি না, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। খবর আল জাজিরার

প্রসঙ্গত, এপ্রিলে ২৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজারের ভাসানচর দ্বীপে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি দ্বীপটি পরিদর্শন করেন লি।

পরিদর্শন শেষে ইয়াংহি লি আরও বলেন, যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া, শরণার্থীদের অনুমতি ছাড়া তাদের স্থানান্তরিত করলে নতুন ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতি নিধন ও গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছেন। তবে মিয়ানমার সরকার বেশিরভাগ নিপীড়নের দাবি অস্বীকার করেছে।

আগামী এপ্রিলে ২৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর প্রেক্ষিতেই এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত। সম্প্রতি ভাসানচর সফর করা ইয়াংহি লি বলেন, বঙ্গোপসাগরের এই দ্বীপটি আসলেই বসবাসযোগ্য কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন। শরণার্থীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ হবে একটি মন্দ বা অসুস্থ পরিকল্পনা।

এর আগে গত জানুয়ারিতেও তাড়াহুড়ো করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। তিনি বলেন, ভাসানচরে সাইক্লোন হলে কি পরিস্থিতি তৈরি হবে তা না দেখে এবং দ্বীপটির সুযোগ সুবিধা যাচাই না করে কোনভাবেই তাড়াহুড়ো করে রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানো উচিত হবে না। তাড়াহুড়ো করে তাদের সেখানে পাঠানো হলে মিয়ানমারের কাছে ভুল বার্তা দেওয়া হবে। মিয়ানমার এমন বার্তা পেতে পারে যে, বাংলাদেশেই রোহিঙ্গাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের ফেরত না নিলেও চলবে।

ইয়াংহি লি’র ভাষায়, ‘তারা (মিয়ানমার) একটি জঘন্যতম অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে বলে ভাবতে পারে।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের শেষের দিক থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। কক্সবাজারে বিভিন্ন অস্থায়ী শিবিরে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official

জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায়

banglarmukh official