এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনও ঘটনা ঘটবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি এসএসসি পরীক্ষার মতোই এইচএসসি পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। সবার সহযোগিতায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনও ঘটনা ছাড়াই আমরা পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে পারব। এ বিষয়ে শিক্ষক, পরীক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চাই।
সোমবার (১ এপ্রিল) এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে রাজধানীর বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এবার দেশের ২ হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ এবং ছাত্রী রয়েছেন ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। আমরা শিক্ষানীতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করব। তবে একবারে তো করা সম্ভব হবে না, পর্যায়ক্রমে করা হবে।’
এসএসসি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ছাপা নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি জায়গায় ছাপা কিছু অস্পষ্ট ছিল, একটি প্রশ্নপত্রে দুই পৃষ্ঠায় দুই রকম প্রশ্ন ছাপা হয়েছিল, সেই পরীক্ষা বাতিল করে আবার নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি এবার কোনও সমস্যা হবে না।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে। কেউ যদি কোনও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, প্রতারণা করে, গুজব ছড়ায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অভিভাবকদের কোনও রকম গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারও ফাঁদে পা দেবেন না, কারণ আমরা বিশ্বাস করি প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্তভাবেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আমি আশা করছি প্রতিটি জেলা, উপজেলার প্রশাসন বিষয়টি মনিটরিং করবে। কোচিংগুলো সত্যিই বন্ধ থাকছে কিনা বিষয়টি তারা নিশ্চিত করবে।’
এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে। আমরা সেগুলো দেখে সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, সেই পদ্ধতি অনুযায়ী মূল্যায়ন হবে।