সম্পাদকীয় কলাম–
আরো একটি স্বপ্ন পুরে গেলো। পড়ার স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন গড়ার স্বপ্ন এমন একটি স্থানের ছাদে অগ্নিদগ্ধ হলো যে স্থান অতিক্রম করার পর মানুষ পেশাগত শিখার জন্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
আল্লাহর পবিত্র ঘর, যেখানে তার দেখানো পথে মানুষকে চলতে শিখানো হয় সেখানেই রয়ে গেলো নৃশংসতার এক ভয়াবহ চিহ্ন। ৬ই এপ্রিল ২০১৯ এই দিনটি সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিওর ফাজিল মাদ্রাসার জন্য আজীবন এক কাল অধ্যায় হয়ে থাকবে।
যৌণ হয়রানি ও ধর্ষণ বাংলাদেশ ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। জোর করে শারীরিক সুখ নেওয়ার, যার বাধা দেওয়ার সামর্থ্য নেই তার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার, পবিত্রতা যার সম্পদ তার মানহানি করার ও ঘৃণিতভাবে পুরুষত্ব প্রদর্শনের এক হাতিয়ার হলে উঠেছে এই যৌণ নিপিড়ন।
এই মহামারী যত দ্রুতসম্ভব থামাতে হবে। কারণ নারীরাও মানুষ এবং তাদেরও অধিকার আছে স্বাধীনতা ও সম্মানের সহিত বেঁচে থাকার। যৌণ নিপিড়ন বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণনয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে। এর সাথে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগযোগমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে বৃহতাকারে গণসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে।
বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে জগন্যতম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে কোনোদিন না ঘটে,এই প্রত্যাশা ও কামনা রইলো দেশের নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -জাতিরজনক এর সুযোগ্য,কন্যা ও বিশ্বমানবতার মমতাময়ী মা এর কাছে???
আসুন সকলে এই সব অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই,নিজের শহর থেকেই শুরু করি প্রতিবাদ।