বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৪ জন ব্যক্তি ছাড়পত্র পেয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৪ জনকে। পাশাপাশি নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল সদর ব্যতীত বিভাগের ৫ জেলায় ১১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় ৩ হাজার ৭২৪ জনকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়।
যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা ৩ হাজার ৫৫১ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা ২৪৬ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে শুধু ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় ১১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জেলার মধ্যে শুধুমাত্র পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাতে ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
তবে বরিশাল নগরসহ জেলায় নতুন করে যেমন কেউ হোম কোয়ারেন্টিনে যায়নি, তেমনি নগরসহ বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়নি।
এর বাইরে বিভাগে এ পর্যন্ত ৩১ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নেয়ার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন, যার মধ্যে ২৫ জনকে এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত ২ জন রোগীর মধ্যে ২ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগিটিভ এসেছে। এর বাইরে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় ২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া বরিশালে এ অব্দি প্রায় ২৫ হাজার পিপিই হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
অপরদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকারিভাবে বরিশাল বিভাগজুড়ে ৫৭৫টি আইসোলেশন বেড ও ১০টির মতো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বেড প্রস্তুত করা হয়েছে ৷
শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে বা করোনার উপসর্গ নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় কেউ শেবাচিম হাসাপাতালে ভর্তি হলে তাদের আইসিইউ বেডে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।
শেবাচিম হাসপাতালে নতুন করোনা ইউনিটির জন্য ৩০ আইসিইউ বেড চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি আইসিইউ বেড বরাদ্দ হয়েছে বলেও জানান তিনি।