খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও নজরুল ইসলাম মঞ্জু। উভয়ই ভোটে জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মঞ্জু রাহিমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং খালেক নগরীর পাইওনিয়ার হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট প্রদানের পর এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।
এসময় তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমি আমার জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে সকলের সঙ্গে একসাথে কাজ করবো। আমি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবং কেসিসির সাবেক মেয়র। খুলনার উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষ আমাকেই ভোট দেবেন।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। তাকে মেয়র পদে আরেকবার সুযোগ প্রদানের জন্যও তিনি নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা যদি নিরপেক্ষ হয় তবে আমিই জয়ী হব।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার কিছু এজেন্ট নুতনবাজারসহ তাদের নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে পারছেন না। দলীয় কর্মীরা গ্রেফতার ও হয়রানির ভয়ে কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না।
তবে মঞ্জুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা সাংবাদিকদের জানান, তারা কোনো বাধা ছাড়াই ভোট দিয়েছেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির কউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল হক মিন্টু অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের পাশে তাদের তাবু ভাঙচুর করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের মারধর ও এজেন্টদের বের করে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে ২২নং ওয়ার্ডের খুলনা জিলা স্কুল ও ফাতেমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, ওই দুই কেন্দ্রে ভোট কাস্ট হয়ে গেছে বলে আর ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে না।
তবে অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ইউনুস আলী বলেন, ৩-৪টি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রে নিয়জিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি দেখতে আদেশ দেয়া হয়েছে।
কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সোনালী সেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের ভেতর সব ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করছে। তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যারা সহিংসতার জন্য দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।