স্টাফ রিপোর্টার//বিথি আক্তার: বরিশাল মহানগরসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যকর এ আদেশ জারি করেন বরিশালের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস এম অজিয়র রহমান। এর আগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায় এবিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ করা হলেও চিকৎসা সংশ্লিষ্ট জরুরী সেবা সার্বক্ষনিক খোলা থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান, কাঁচাবাজার ও অন্যান্য পরিসেবাসমুহ আগের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া জরুরী কারণ ব্যতিত রিক্সা, অটোরিক্সা, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ যন্ত্রচালিত সকল প্রকার যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল বিকেল চারটার পর সম্পূর্নরুপে বন্ধ থাকবে। পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল এ আদেশের আওতামুক্ত থাকবে।
গনবিজ্ঞপ্তিতে সর্বসাধারণকে এ নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে, অন্যথায় আদেশ অমান্যকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এর আগে রবিবার জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যবসায়ীক সমিতির নেতৃবৃন্দর নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখার পাশাপাশি রমজান ও ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শপিংমলসহ বিভিন্ন দোকানপাটসমূহ খোলা রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ঘটেছে।
জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়ার রহমান বলেন, ‘বরিশালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের অবস্থা বিবেচনা করে বলা যায় বিভিন্ন দোকান, শপিংমল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। পাশাপাশি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় এবং তাদের অসচেতনতায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকিতে রয়েছে নগরবাসী। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কমিটির সদস্যদের সম্মিলিত মতামতে বিভিন্ন দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রাখতে আদেশ জারি করা হয়েছে।’