কলাপাড়ার ৬টি ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার বিকল্প সড়কে বালিয়াতলী খেয়া পারাপার হতে হয়। কয়েকমাস আগে ফেরী পারাপারের জন্য পল্টনের সংযোগ গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়ে। পরে জোয়ারের প্রভাবের পানিতে গ্যাংওয়ে তলিয়ে যায়।৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার হতে হয়।
এ খেয়া পারাপারে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন। দায়িত্বশীলেরা নীরব ভূমিকায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত দুই দফা জোয়ারের পানিতে পন্টুনের সাথে সংযোগ গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। কচিকাঁচা কোমলমতি স্কুল-কলেজগামী শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রীদের কোমর পরিমাণ পানি অতিক্রম করে খেয়া পারাপার হচ্ছে। এ খেয়া পারাপারে বেশী ভোগান্তিতে রয়েছে, লালুয়া, বালিয়াতলী, ডালবুগঞ্জ, লতাচাপলী একাংশ, মিঠাগঞ্জ ও ধূলাশ্বর ইউনিয়নের জনসাধারণ উপেজলা সদরে আশা যাওয়া করতে হয় এই ফেরী পার হয়ে। পর্যটকবৃন্দ কুয়াকাটার বিকল্প সড়ক হিসেবে বালিয়াতলী সড়ক ব্যবহার করছেন। দীর্ঘদিন ধরে খেয়াঘাটের এই দন্যদশা বিরাজ করলে এ নিয়ে প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। এই খেয়ায় বর্তমান বছরে প্রায় কোটি টাকার ইজারা দেয়া হয়েছে। বালিয়াতলী খেয়াঘাটের ইজারাদার মোঃ মুসা গাজী জানান, পল্টনের বিষয়টি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাস ও উপজেলা প্রকৌশলী কে অবহিত করছি। তারা বলেছেন বিষয়াটা দ্রুতগতিতে সমাধান করবেন। উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ আঃ মন্নান বলেন, পল্টনের সিড়ি দুইটির খুবই নাজুক অবস্থা। তাই অতি তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলাপাড়া উপেজলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ বলেন, শিজ্ঞিরই ও ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।