পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নে, ৮নং ওয়ার্ডে পূর্ব আটখালী গ্ৰামে, ০৬-০৫-২০২০ইং তারিখে কালো রাতে মালা আক্তার নামে (১৪) মেয়ের বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায় মেয়ের পিতা জামাল সিকদার (পঞ্চত বাড়ি থাকেন) এবং ০৭-০৫-২০২০ইং তারিখে রাতের অন্ধকারে বর আলী আক্কাছ খলিফা, পিতাঃ আনছার খলিফা, চার জামাই নিয়ে মেয়েকে তুলে আনতে যায়।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশে মানুষের এক স্থানে ঝড়ো হওয়ার বিধি-নিষেধ থাকা সত্বেও অনেক মানুষ এক জায়গায় একত্রিত হয়ে এই বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকার সচেতনত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে গেলে তাদের কথা উপেক্ষা করে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
“বাল্য বিবাহ বাংলাদেশে এক মহামারী হয়ে উঠেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যা শুধু আরও খারাপের দিকে যায়”
খবর পেয়ে গলাচিপা থানার এসআই জাফর ঘটনাস্থলে পৌছালে পুলিশের উপস্থিতি বুজতে পেরে বরপক্ষ ও কনে পক্ষ দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এলাকাবাসী জানায় তারা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বদ্ধ পরিকর। বর্তমান সরকার বাল্যবিবাহ রোধে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি এই বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসন যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।
এ ব্যাপারে এসআই জাফর বলেন, আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে এলাকার সবাইকে এবং মেয়ের পরিবারকে বলে এসেছি যেন এই বিয়ে না দেওয়া হয় যতক্ষন প্রর্যন্ত মেয়ের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হয়।
উল্লেখ্য, কনে মালা আক্তার (১৪) ডাকুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
সরকারের দিন বদলের অঙ্গীকার রয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫৪ থেকে কমিয়ে ১৫ করা হবে৷ ২০২১ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩.৮ থেকে কমিয়ে ১.৫ করা হবে৷ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা না গেলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না৷ বাল্য বিবাহ সংকুচিত করে দেয় কন্যা শিশুর পৃথিবী৷ আমরা যদি সবাই সচেতন হই তাহলে কন্যা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে৷ দেশে মা ও শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে৷ তাই বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ এখন থেকেই!