27 C
Dhaka
জুলাই ১৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
করোনা জেলার সংবাদ বরিশাল

দোকান বন্ধের নির্দেশনা মানছে না, করোনা ঝুঁকিতে বরিশাল

তানজিম হোসাইন রাকিব: করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বরিশালের মার্কেটগুলোতে বেড়েছে লোকসমাগম। দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করে কেনাকাটা করছেন। সামাজিক দূরুত্ব মানছেন না অনেক দোকানি ও ক্রেতারা। ফলে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও।

এভাবে লোকসমাগম বাড়তে থাকলে বরিশাল নগরীসহ ছয়জেলায় করোনার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহতা সৃষ্টির আঙ্কাকা করছেন স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ করোনা শনাক্ত হয় গেল ৮ মার্চ। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে করোনা শনাক্ত হয় গত ৯ এপ্রিল। এরপর থেকে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামসহ আক্রান্তের বাড়ি অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হয়। তবুও শনাক্তের শুরু থেকে চলতি মাসের ১৩ মে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ১৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এরইমধ্যে সেরে উঠেছেন ৮৬ জন। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বরিশালে ৫৮ জন।

এদিকে গত ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং মল ও দোকান-পাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু ৯ মে রাতে করোনার বিস্তাররোধে বরিশাল নগরীর মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার জন্য বৈঠক করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ জানান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। অনুরোধ মেনে নিয়ে পরদিন নগরীর পোশাক সামগ্রীর বিক্রয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য সব দোকান-পাট, শপিং মল ও মার্কেটগুলোকে জানিয়ে দেয় নেতৃবৃন্দরা। এরপরও বরিশাল নগরীসহ বিভাগের জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতায় উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সিটি মেয়রের অনুরোধ উপেক্ষা করে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ১১ মে থেকে শুরু করে ১৩ মে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল নগরের চকবাজার, পদ্মাবতী, কাটপট্রি, লাইনরোড, হেমায়েত উদ্দিন রোড ও গীর্জামহল্লার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে ঈদ সামগ্রী পুরোদমে বিক্রি করছে। কেউ আবার দোকানের সাঁটার টেনে ক্রেতাদের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে পোশাক বিক্রি করছে।

এছাড়া হাজী মহসীন হকার্স মার্কেটের কিছু দোকান, জেলা পরিষদ পুকুর পাড়, নগর ভবনের সামনে ও ফলপট্টি এলাকার ফুটপাতে ভিড় দেখা গেছে চোখে পড়ার মতো। এসব এলাকার হাতেগোনা কয়েকটি পোশাকের দোকান বন্ধ থাকলেও মোবাইল, প্রসাধনী, ইলেকট্রোনিক্সসহ অন্যান্য দোকান খুলতে দেখা গেছে। খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করতে বাজারে আসছেন নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহীনিদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন চিত্র অন্যান্য জেলা শহরেও দেখা যায়।

জানতে চাইলে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা খায়রুল নামের এক যুবক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আগে বিয়ে করেছি। তাই নতুন শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে আসছি।

নগরীর চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি শেখ তবারক  জানান, বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুরোধে ঈদের আগে পোশাক সামগ্রী বিক্রয় দোকান-পাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী শপিংমল, মার্কেটসহ সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। কিন্তু অনেকেই তাদের দোকান-পাট বন্ধ না রেখে পুরোদমে বিক্রয় করছে। যা করোনা পরিস্থিতিতে নগরী হুমকির মুখে।’

বরিশালের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মনোয়ার হোসেন  জানান, বরিশাল জেলায় গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা তেমন না বাড়লেও দিনে দিনে সড়কে জনসমাগম ও মার্কেটগুলোতে ঈদের বেচাকেনার ভিড় বেড়েছে। এতে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে শুরু করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official