তাম্র যুগের মানুষের সমাধিতে কঙ্কাল, পাথরের চশা ও পাখি শিকারের অস্ত্র খুঁজে পাওয়া গেছে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেখানে চার হাজার বছর পূর্বে ওই মানুষদের দেহ সমাহিত করা হয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, সেখানকার একটি সমাধিতে পাওয়া পাথরের অস্ত্রগুলো পাঁচ হাজার বছরের পুরনো।
সেগুলোর প্রকৃত ব্যবহার অজানা থাকলেও, ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো পাখি শিকারে ব্যবহার করা হতো। রাশিয়ার নভোসিবিরস্ক ইনস্টিটিউট অব আর্কিওলোজি অ্যান্ড এথনোগ্রাফির গবেষক লিলিয়া কবেলেভা বলেন, ধর্মীয় কোনো আচার-অনুষ্ঠান পালনের, সম্ভ্রম বাঁচানোর কিংবা মাথা কেটে ফেলার অস্ত্র সেই পাথরগুলো।
তিনি আরো বলেন, সেগুলো কাঁধের কাছে এমনভাবে পাওয়া গেছে যে, জীবিত অবস্থায় মালিককে সুরক্ষা দিতে সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে ‘পাখি শিকারীর’ সমাধিতে দুই শিশুর দেহাবশেষ মেলে। যাদের বয়স পাঁচ ও ১০ বছর। এই ব্যক্তির মাথার খুলির কাছে চশমা রাখা ছিল। পরের জীবনে দেখতে যেন অসুবিধা না হয়, সেই আশায় চশমাটি সমাধিতে রাখা হয়েছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মজার ব্যাপার হলো, সেই চশমাটি পাথরের তৈরি। তবে চশমাটির চোখ বরাবর স্থানে দেখার জন্য ফাঁকা রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, সেখানে সমাহিত ব্যক্তিরা নিজেদের গোত্রে আলাদা আলাদা দায়িত্ব পালন করতেন। সে কারণে প্রত্যেকের সঙ্গে থাকা সরঞ্জাম আলাদা। সেখানে ৩০ জনের বেশিজনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, সেই সমাধিতে থাকা প্রত্যেকটি দেহাবশেষ কোনো না কোনো পুরোহিতের। তাদের দেহাবশেষ আবিষ্কার করে প্রত্নতাত্ত্বিকরাও অত্যন্ত খুশি।